আরিফুর রহমান সুজন (বিশেষ প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

বেতাগীতে টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন : ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

বরগুনার বেতাগীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বেতাগী উপজেলায় এ বছরে ৭৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ চাষীরা আশাবাদী ছিল এবার ভাল ফলন হবে। শুরুতেই আগাম জাতের এই তরমুজের বীজতলা ডাল হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে।

রমজানকে সামনে রেখে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা বুক বেধেছিল। তিনদিনের বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্ষেতগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জমে থাকা পানিতে পরবর্তীতে তরমুজ গাছ মরে ফলনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় করছে কৃষকরা।

ইতোমধ্যে ফলন হওয়া তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। বেতাগী উপজেলার পুটিয়াখালী, বিবিচিনি, বেতাগী সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাণীপুর, হোসনাবাদের দক্ষিন বাসন্ডা, দক্ষিন হোসনাবাদ, মোকামিয়া ইউনিয়নের করুনা, মোকামিয়া মাদরাসা, চরখালী, বুড়ামজুমদারের পূর্ব বুড়ামজুমদার, পশ্চিম কাউ- নিয়া ও কাজিরাবাদ ইউনিয়নের আয়লা চান্দখালী, পূর্ব কাজিরাবাদ ও কাজিরাবাদ গ্রামে প্রায় এ বছরে ৭৯ একর জমিতে তরমুজ চাষা করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বুড়ামজুমদার গ্রামের সরেজমিন পরিদর্শণ কালে তরমুজ চাষি রুবেল গাজী (৩৫) জানান, বৃষ্টি হওয়ার দুদিন আগেই আমরা তরমুজ খেতে পানি দিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমাদের। কারণ অতিরিক্ত পানি হয়ে আছে তরমুজ খেতে। এতে গাছ ও তরমুজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমার ক্ষেত থেকে দুই থেকে তিন হাজার তরমুজ নষ্ট হয়েছে তা ফেলে দিয়েছি এখন আমি বিভিন্ন মাধ্যমে সেচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি।

বেতাগী বাজারের ফল ব্যবসায়ী মহারাজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর এর ফলন অনেক ভালো ছিলো কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারনে বেশিরভাগ জমির তরমুজ পানির নিচে চলে গেছে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজার রাখা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তরমুজের দাম অনেক বেড়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইশা বলেন, তনমুজ চাষিদের এ ক্ষতি থেকে উত্তরনের জন্য আমরা সব ধরনের কারিগারি সহযোগিতা দিয়ে আসছি।