নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এজিং স্কিম “রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং” সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জান ডে নুল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট চ্যানেলটি হস্তান্তর করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় পায়রা বন্দরের সভাকক্ষে বন্দর কর্তৃক একটি প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং প্রকল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যা পায়রা বন্দর সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে পায়রা বন্দরের চ্যানেলের গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হয়ে পায়রা বন্দর বর্তমানে দেশের গভীরতম বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। এর ফলে ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩২ মিটার প্রস্তু ষাট হাজাার মেঃ টন ওজনের পণ্য নিয়ে সরাসরি পায়রা বন্দরে ভিড়তে পারবে। টার্মিনালটি চালু হলে বন্দরের আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়বে। পায়রা বন্দরের ট্যারিফ রেইট চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চেয়ে গড়ে ২০%-৩০% কম, যা বন্দর ব্যবহারকারীদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করবে।
তিনি আরো বলেন, পায়রা বন্দর বাংলাদেশ স্বাধীনের পর নির্মিত দেশের প্রথম স্মার্ট বন্দর। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে ঘিরে দেশি বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠছে পায়রা শিল্প নগরী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রি, ডক ইয়ার্ড, বিমান বন্দর ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর কর্মসংস্থানের। আগামী মে, ২০২৩ খ্রিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্ভোধন করার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্কিম পরিচালক কমডোর রাজীব ত্রিপুরা বলেন, এ ধরনের দীর্ঘ ৭৫ কি.মি. চ্যানেল এর ব্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়নের পূর্বে দীর্ঘ কয়েক বছর স্টাডি ও সমীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা করে চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক মানের একটি চ্যানেল ডিজাইন করে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব মুহিব্বুর রহমান মুহিব বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ হবার ফলে পায়রা বন্দর বিশ্বের একটি শ্রেষ্ঠ বন্দরে পরিনত হয়েছে। এই বন্দরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এবং মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটবে।
Print [1]