ভোলায় পুকুরে মাছের পোনা খেয়ে ফেলা দ্রুত বর্ধনশীল ‘ভয়ংকর’ সাকার ফিশ নামের একটি বিরল প্রজাতির মাছ পাওয়া গেছে।
রবিবার জেলার সদর উপজেলা ইলিশা বাঘার হাওলা গ্রামের আব্দুল শহীদের পুকুরে মাছ ধরার সময় জালে এই মাছটি ধরা পড়ে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী মাছটিকে এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। দেখা যায় মাছটির শারীরিক গঠন আকর্ষণীয়। কাঁটাযুক্ত শরীরজুড়ে তার নান্দনিক কারুকাজ। নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। শোভাবর্ধনের জন্য এই মাছ অ্যাকুরিয়ামে রাখা হয়।
জেলে মো. শহিদ বলেন, প্রতি বছর রমজান উপলক্ষ্যে পুকুরের মাছ ধরি। পুকুরে জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই মাছটি উঠে আসে। প্রথমে ভয়ংকর সাপ মনে করেছিলাম। পরে অনেকে বললো সাপ নয়। পুকুর পাড়ে তুলে আনার পর জানা গেল এটি সাকার মাছ।
স্থানীয় যুবক হাবিব, নাফিস, মাহিন, রাকিব বলেন, মাছটির কথা শুনে দেখতে যাই। পরে নেটে সার্চ করে দেখি এটি ভয়ংকর সাকার ফিশ। এই মাছ যে পুকুরে থাকে সে পুকুরে অন্য মাছ হয় না। এরা পুকুরের সব মাছ খেয়ে ফেলে। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ভোলার পুকুরে যে মাছটি পাওয়া গেছে এটিকে সাকার মাউথ ক্যাটফিশ বলে অভিহিত করা হয়। জেলা মৎস্য-চাষীদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে যে পুকুর জলাশয় কিংবা নদীতে এ মাছ পাওয়া যাবে সেটিকে যেন ধ্বংস করা হয়। কারণ সাকার ফিশ বা সাকার মাছ পুকুরের অন্য মাছগুলো খুব দ্রুত খেয়ে ফেলে।
সাকার ফিশ মাছটি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। উল্লেখ্য, এ মাছটির নাম হলো ‘সুইপার’ বা ‘সাকার ফিশ’। এদের বসবাস পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরে। এছাড়া এ প্রজাতির মাছের বসবাস দেখা যায় জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার আশপাশের এলাকায়। তবে কয়েক বছর ধরে তা ভারত, চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের জলাশয়েও দেখা যাচ্ছে।