আরিফুর রহমান সুজন (বিশেষ প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

বেতাগীর প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ মামলার সেই আসামি মজিবুর রহমান ঢাকায় র‌্যাবর হাতে গ্রেপ্তার

বরগুনার বেতাগীর আলোচিত প্রতিবন্ধী শিশু কন্য ধর্ষন মালার একমাত্র আসামি মো. মজিবুর রহমান খান (৫০) ঢাকায় র‌্যাবের হাতে এর হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বর্ণিত মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান ও একমাত্র আসামী মো. মজিবুর রহমান খান আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অবস্থান করছে। র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা কওে সোমবার (০৩ এপ্রিল) দুপুর ২ টায় আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় র‌্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৯ মার্চ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝিলবুনিয়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মকবুল হোসেন হাওলাদার (৫০) তার ১৪ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে পৌরসভাস্থ বাজারের ব্রীজের কাছে পৌঁছালে তার মেয়ে তাকে সেখানে রেখে রিক্সা আনার কথা বলে গেলে আর ফেরৎ আসে না। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে তার বাবা মো. মকবুল হোসেন হাওলাদার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারে যে তার মেয়েকে আসামী মো. মজিবুর রহমান খান (৫০) ফেরীঘাটের দোকানদার মো. জালাল মোল্লার চা দোকানের সামনের ইটের সলিং এর রাস্তা হতে ফুসলিয়ে নিজ বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে অনেক খোঁজাখুজি করা হয়।

৩১ মার্চ রাত আনুমানিক ১২ টার সময় স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে বেতাগী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডেও হাওলাদার বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর দেখতে পেয়ে তাকে জানায়।

পরবর্তীতে মো. মকবুল হোসেন হাওলাদার তার মেয়ের নিকট হতে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদে তার মেয়ে জানায় যে, আসামী মো. মজিবুর রহমান খান তাকে ০২ দিন তার নিজ বাড়িতে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মজিবুর রহমান খান (৫০) ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি র‌্যাবের কাছে স্বীকার করে। সে আরও জানায় যে, মেয়েটিকে সে আটকে রেখে যৌনবর্ধক ট্যাবলেট খেয়ে ধর্ষণ করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি মজিবুর রহমান খানকে খুব শীঘ্রই বেতাগী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, বেতাগী সদর ইউনিয়ন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরে শিশুর বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে বেতাগী থানায় মো. মজিবুর রহমানকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।