আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ , আজকের সময় : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

পলাশবাড়ীতে রাস্তা পাকাকরণ কাজে মাটি মিশ্রিত বিট বালু ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার অব্যাহত: এলাকাবাসীর ক্ষোভ

বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশ হওয়ার পরেও পলাশবাড়ী সীমান্তবর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলার রাস্তা প্রশস্থ ও পাকাকরণে নিম্নমানের রেডিমেট খোয়া ও মাটি মেশানো বিট বালু ব্যবহার অব্যাহত রাখায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভের বিরাজ করছে।

উক্ত সড়ক পাকাকরণ কাজে ভালো মানের খোয়া ও বালু দিয়ে টেকসই উপযোগী সড়ক পাকাকরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলায় এলজিডির অধীনে উপজেলার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের ঢোলভাঙ্গা বাজার হতে গাছুর বাজার মিস্ত্রি পাড়া পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণের কাজে নিম্নমানের রেডিমেড খোয়া ব্যবহার ও বিট বালুর বদলে মাটি মেশানো নিম্নমানের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়। স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ হলে চতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নিম্নমানের রেডিমেট খোয়া গুলো দৃশ্যমান হওয়ায় উক্ত খোয়া গুলো মাটি মেশানো বিট বালু দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩ হাজার ২’শ মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। রফিক কনষ্ট্রাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ইটভাটা থেকে বিভিন্ন শ্রেণির রেডিমেড খোয়া ক্রয় করে উক্ত রাস্তায় ডাব্লিউএমএম কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণ জানায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ও মাটি মেশানো বালু ব্যবহার করে তার উপর দিয়ে সামান্য পরিমানের ভালো খোয়া ছিটিয়ে রোলার করছে। বিভিন্ন ইটভাটার রেডিমেড খোয়া ব্যবহার না করে ইট ক্রয় করে রাস্তায় এনে ইট ভেঙে খোয়া ব্যবহার করার দাবী জানান। তাই এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন জানান, আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানসম্মতভাবে সড়কের কাজটি আমরা করতে পারি এজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ জানান, স্থানীয় একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে তারা প্রতিনিয়ত হয়রানী করতে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা সঠিক ভাবে কাজ বুঝে নিচ্ছি।

অপর দিকে গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, যেকোন মূল্যে কাজের মান ভালো করা হবে। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।