ভোলা জেলায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপদাহের মাত্রা বাড়তে থাকে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মানুষের জীবন যাত্রা।
বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে এমন গরমে। প্রচন্ড গরমের হাত থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি অনান্য প্রাণিকূলও নাকাল তীব্র তাপপ্রবাহে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। ভোলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে মাঝারী ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এখানে গত দুইদিন তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৫২ শতাংশ। এছাড়া শনিবার তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও তার আগের দিন ছিলো মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন ধরে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রচন্ড গরমে শ্রমজীবী সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। রোজার মধ্যে তীব্র গরম তাদের কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। শহরের কালীবাড়ি সড়কে রিকশা চালক ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রখর রোদের উত্তাপে তাদের ব্যাপক কষ্ট হয়। তাই কম রিকশা চালান। ভ্যান চালক জাভেদ আলী বলেন, বেলা ১২ টার পর শহরের জন সাধারণের চলাচল অনেক কমে যায়। বিকেলের পর আবার লোকজন বের হতে শুরু করে। অন্যদিকে প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: নিশি পাল জানান, দৈনিক ৩’শ থেকে সাড়ে ৩’শ ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। তাই খাবার দাবার গ্রহণে সকলকে আরো সচেতন হবে। বেশি করে পানি খেতে হবে। বাইরের খাবার না খাওয়াটাই ভালো। বাইরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হতে হবে।