কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আলআমিন, জনতা ও লামিয়া বেকারীকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে মানসম্মত খাদ্যপণ্য তৈরীর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে পৃথক ৩টি অভিযানে ৩০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় ওই বেকারী মালিকদের।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই তিনটি বেকারী পন্য উৎপাদন ও বিপণনে অনিয়ম করে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ওই তিনটি বেকারীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভূঞা জনীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমূল হুদা, বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মেসার্স আল আমিন বেকারীকে পণ্য মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে বিস্কুট,কেক ও পাউরুটি উৎপাদন, মোড়কজাত ও বিক্রয় করায় এবং ডিজিটাল ওজন যন্ত্র ভেরিফিকেশন সনদ ব্যতীত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্ট আইনে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একইদিন দ্বিতীয় অভিযানে মেসার্স জনতা বেকারী পণ্য মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে বিস্কুট,কেক ও পাউরুটি উৎপাদন, মোড়কজাত ও বিক্রয় করায় ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইনে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সবশেষ অভিযানেও মেসার্স লামিয়া বেকারীকে পণ্য মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে বিস্কুট,কেক ও পাউরুটি উৎপাদন, মোড়কজাত ও বিক্রয় করায় ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইনে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।