রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হত্যা মামলায় শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে : পিটিআইকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলের সাথে এ কেমন শত্রুতা ? ৭দফা দাবিতে তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘ভূমিহীন’ থেকে ১৫ বছরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয়ে অভিনন্দন তথ্য উপদেষ্টার বিএসএফের গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে ভারতকে আহমদ শফী আশরাফী’র নিন্দা বামনায় সাংবাদিকদের সাথে ” আলোকিত সমাজ”র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিন যেতে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : মন্ত্রণালয় ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮০২ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, নয়াদিল্লির স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ০৮ মিনিটে (আইএসটি) ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন।
সেদিনই বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
তিনটি সমঝোতা স্মারক হল: ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদন সহজীকরণ’।
জি-২০ সম্মেলনে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত’ বিষয়ে পৃথক দুটি ভাষণ দেন।
‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশন চলাকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরেন।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।
১০ সেপ্টেম্বর, জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি-২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হয়।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং এই সভাপতিত্বের মেয়াদে ভারত বাংলাদেশ সহ মোট নয়টি দেশকে সমস্ত জি ২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..