তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২২ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। উইল ইয়ং ৭০, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম লাথাম ৫৩ ও রাচিন রবীন্দ্র ৫১ রান করেন।
হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেদারল্যান্ডস।
ব্যাট হাতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও ইয়ং। অষ্টম ওভারে দলের রান ৫০ পার করেন তারা। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কনওয়েকে ৩২ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন নেদারল্যান্ডসের স্পিনার রোলফ ফন ডার মারু। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ বলে ৬৭ রান পায় নিউজিল্যান্ড।
এরপর ক্রিজে ইয়ংয়ের সঙ্গী হন আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রবীন্দ্র। কনওয়ের সাথে আরও একটি বড় জুটির চেষ্টা করেন ইয়ং। এই জুটিতেই ওয়ানডেতে ষষ্ঠ অর্ধশতকের দেখা পান ইয়ং। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করার পথেই ছিলেন তিনি।
কিন্তু ২৭তম ওভারের প্রথম বলে ইয়ংকে শিকার করে নেদারল্যান্ডসকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার পল ফন মিকেরেন। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ বলে ৭০ রান করে আউট হন ইয়ং। দ্বিতীয় উইকেটে রবীন্দ্রর সাথে ৮৪ বলে ৭৭ রান যোগ করেন ইয়ং।
ইয়ং ফেরার পর বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রবীন্দ্র। ৫০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরের ডেলিভারিতেই মারুর দ্বিতীয় শিকার হন ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫১ বলে ৫১ রান করা রবীন্দ্র।
৩৩তম ওভারে দলীয় ১৮৫ রানে রবীন্দ্র ফেরার পর ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লাথাম। চতুর্থ উইকেটে লাথামের সাথে ৪৭ বলে ৫৩ রান তোলার পর ব্যক্তিগত ৪৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো।
৪৯তম ওভারে আউট হবার আগে ওয়ানডেতে ২২তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন লাথাম। ৪৬ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন লাথাম।
শেষদিকে মিচেল স্যান্টনারের ১৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রান এবং ম্যাট হেনরির ৪ বলে অপরাজিত ১০ রানে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২২ রান করে নিউজিল্যান্ড।ওয়ানডে ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নিউজিল্যান্ডের।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে মিকেরেন-মারু-আরিয়ান ২টি করে উইকেট নেন।