বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারাদেশের মানুষ ও ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছিলো বলে এতো নির্মম, নিষ্ঠুর স্বৈরাচার হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সে বাংলাদেশকে বাবার জমিদারি আর জনগণকে চাকর-বাকর মনে করতো। যারা তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করেছে তাদের সে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এমন একটি দানবকে জনগন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে’।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আজ বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সমাবেশের উদ্বোধন করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
রিজভী শেখ হাসিনা’র দেশ ত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, শ্রমিকের ঘামের টাকা, বিদ্যুতের টাকা, মেট্রোরেলের টাকা, বড় বড় মেগা প্রজেক্ট ও শেয়ার বাজারের টাকা পাচার করেছে হাসিনা। আর এসব সিন্ডিকেটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগনকে।
অন্তঃবর্তীকালিন সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, জনগনের সমর্থন নিয়ে আপনারা সরকার হয়েছেন, বিএনপি আপনাদের সমর্থন দিয়েছে এবং সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সমর্থন দিয়েছে। তবে আপনারা কেনো আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আটা ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। শুধু শুল্ক কমালে হবে না, সিন্ডিকেটগুলোও ভাঙতে হবে। তিনি এ সময় দ্রুত নির্বাচনের ডেটলাইন ঘোষণারও দাবি জানান।
বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ ও চৌমুহনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, এবিএম জাকারিয়া, শামীমা বরকত লাকী প্রমুখ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়।