জেলায় কৃষক পর্যায় থেকে তৃতীয় হাত ঘুরে প্রতি কেজি আলু ১০ টাকা ১৫ টাকা’র ব্যবধানে সাধারণ ভোক্তাদে কাছে পৌঁছছে। বর্তমানে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা গত মৌসুমে জেলায় ২০ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। উল্লেখিত পরিমাণ জমি থেকে মোট ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে।
সাধারণত আলু কোন কৃষক নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখেন না। পচে যাওয়া বা পোকায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করে রাখেন। কৃষকর ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক ষ্টক ব্যবসায়ীরা মৌসুমে’র শুরুতে কৃষকদের কাছ থেকে আলু ক্রয় করে অবাক লাভের আশায় হিমাগার গুলোতে মজুদ করে রাখেন।
বর্তমানে নওগাঁ জেলার বি এইচ স্পেশালাইজড কোল্ড ষ্টোরেজ, দিনা কোল্ড ষ্টোরেজ, ফয়েজ উদ্দিন কোল্ড ষ্টোরেজষ্টোরেজ, সমবায় কোল্ড ষ্টোরেজসহ বিভিন্ন হিমাগার গেইট থেকে আলুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে এনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা তাঁদের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করেন।
পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা এসব হিমাগার থেকে প্রতি কেজি আলু ৪৫ থেক ৪৬ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে –কিনে । এসব আলু পাইকারি বাজারে এনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন ৫৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকায়। সেই আলু খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন ,মানুষের সবচেয়ে পছন্দের ও প্রধান তরকারি হচ্ছে আলু। নওগাঁ জেলায় পর্যাপ্ত আলু উৎপাদিত হয়। আসন্ন মৌসুমে বিগত মৌসুমের চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আসন্ন মৌসুমে ২১ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।