সুন্দরগঞ্জ সীচা লালচামার এলাকায় নদী শাসনের কাজে প্রায় শতাধিক শিশু শ্রমিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৷ শ্রম আইন ও কারখানা আইনের ১২ থেকে ৪৮ ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মহিলা ও শিশু শ্রমিকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সব বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তার বাস্তবায়ন নেই এখানকার কোন কাজে।
১২ মে শুক্রবার বিকেলে প্রজেক্ট ঘুরে দেখা গেছে নিয়োজিত অধিকাংশ শিশু শ্রমিকই ভারী ব্লক বা লোহার অ্যাঙ্গেল তোলাসহ হাতুড় দিয়ে রড সোজা করা, নৌকা করে ব্লক ফেলানো ছাড়াও বিভিন্ন ঝুঁকিপুর্ন কাজে নিয়োজিত ৷ বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজে নিয়োগ দেওয়া এবং ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ ৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো করতে গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে । এক্ষেত্রে শিশুদের কাশি, যক্ষা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগসহ, নানারকম স্কিন ডিজিজ এবং কিডনির জটিলতা বেড়ে যাচ্ছে । রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশের শিশুশ্রম বন্ধ করা আইনের ফাঁক দিয়ে একশ্রেণীর মানুষ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য শিশু শ্রমিক দিয়ে কম মজুরিতে কাজ হাসিল করেই যাচ্ছে ।
এ বিষয়ে মতামত গ্রহনে উপস্থিত সময়ে তিস্তা নদী ভাঙ্গন রোধ শাসন প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া সম্ভব হয়নি ৷
বছর ঘুরে শিশুশ্রম বিরোধী দিবস আসে চলেও যায় বন্ধ হয় না শিশুশ্রম বরং দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে শিশুশ্রম বেড়েই চলছে এবং শিশু শ্রমিকেরা ন্যায্য অধিকার রক্ষা করতে পারছে না ৷ এছাড়াও শিশু শ্রমিকরা নূন্যতম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৷
এ ব্যাপারে শিশুশ্রম বন্ধে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এসব কাজে নিয়োজিত শিশুদের সঠিক পরিসংখান তৈরি করে শ্রম আইনের বিধি বিধান বাস্তবায়ন, ভারী কাজ করাতে শিশুদের বাধ্য করা থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে এ প্রজেক্ট কারখানার মালিককে আইনগত নির্দেশনা প্রদান এবং তাদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সুন্দরগঞ্জের সীচা লালচামার বেড়ি বাঁধ এলাকার স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল মত প্রকাশ করেছেন।