বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

বিএসটিআইয়ের অভিযানে বন্ধ পপুলার আইসক্রিম কারখানা

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩
  • ৫৮৩৫ বার পঠিত
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নোংরা পরিবেশে ক্ষতিকর কেমিক্যালে রং মিশিয়ে ঘনচিনিতে তৈরি হচ্ছিল নিম্নমানের আইসক্রিম 

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় শিশু শ্রমিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের আইসক্রিম। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া কৃত্রিম সুগন্ধি আর অপরিশোধিত পানি দিয়ে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছিল একটি প্রতিষ্ঠান। এসব শিশু খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল, সোডিয়াম, স্যাকারিন বেনজো-সালফামাইড, হাইড্রোজ বা এলুমিনিয়াম সালফেটসহ ক্ষতিকর রং ও নানা রাসায়নিক উপাদানে তৈরি এসব আইসক্রিম জনস্বাস্থ্যের জন্য তৈরি, মজুদ ও বিক্রির অপরাধে জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগমাবাদ এলাকায় পপুলার আইসক্রিম কারখানার ২০ হাজার পিস আইসক্রিম, আইস ললি, ও ফ্লেভার্ড ড্রি়ংস ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতবুধবার ২৪শে মে বিকালে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ’র নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানিয়েছেন, বিএসটিআই কুমিল্লার একটি টিম দেবিদ্বার উপজেলার বেগমাবাদ নামক এলাকায় পপুলার আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বিএসটিআই টিমের উপস্থিত টের পেয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক মনি লাল সাহা ও রুবেল মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে, ভেজাল ও ঝুঁকিপূর্ণ আইসক্রিম তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল। অভিযানে ফ্যাক্টরির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি মালিকপক্ষ। কারখানায় বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর উপকরণ দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছিল। এগুলো শিশুখাদ্য হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হতো। আইসক্রিম বানাতে তারা নোংরা পানি ও নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে আসছে। কারখানায় কোনো ধরনের পরীক্ষাগার নেই। কর্মচারীরা অ্যাফ্রোন ও গ্লাভস ছাড়াই নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি ও প্যাকেটজাত করছিল। এসব খাবার মানবদেহের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পুরো ফ্যাক্টরিতে ছিল নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এ সময় কারখানায় বিক্রির জন্য মজুত করা ২০ হাজার আইসক্রিম জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

বিএসটি আইয়ের ফিল্ড অফিসার মোঃ শাহিদুল ইসলাম ও ফিল্ড অফিসার কাজী শাহান জানান, ফ্যাক্টরিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নজরদারি করার পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পপুলার আইসক্রিম ফ‍্যাক্টরির বিরুদ্ধে বিএসটিআই এর নিয়মিত মামলা হয়েছে। এ ধরনের শিশু খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপন্নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখে জনস্বার্থে বিএসটিআই কুমিল্লার এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অফিসার ডাঃ নাজমুল আলম বলেন গরম এলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত আইসক্রিম তৈরি করে। মূলত তারা শিশু ও স্কুল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেই ক্ষতিকর আইসক্রিম তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা মনে করেন, নিম্নমানের এসব সস্তা আইসক্রিম আসলে নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে রং কেমিক্যাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ আইসক্রিম খেলে তাৎক্ষণিকভাবে এসিডিটি, ফুড পয়জনিং, ডায়রিয়ার মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। আলসার ও ক্যান্সার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..