শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

পলাশবাড়ীতে কাজীর বিরুদ্ধে কাবিননামা জালিয়াতিসহ নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩
  • ৫৮৩৪ বার পঠিত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে কাবিন নামায় দেনমোহর জালিয়াতিসহ এক নারীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) রাতে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার মা লাইলী বেগম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামের মৃত ইজাব উদ্দিনের মেয়ে ভুক্তভোগী আশা আক্তার ফেন্সি তার লিখত ও মৌখিক বক্তব্যে বলেন, সে গত ১৭ এপ্রিল ২০০০ সালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট পাঁচ পগইল গ্রামের রবিয়াল হোসেনের ছেলে শাহিদুল ইসলামের সাথে ২ লক্ষ ৩০ হাজার এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে তার বিবাহ হয়।

বিবাহ রেজিস্ট্রী করেন ৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী মুনছুর রহমান। বিবাহের পর ফেন্সির কোন সন্তান না হওয়ার কারনে স্বামী শাহিদুল ইসলাম অন্যত্র দ্বিতীয় বিবাহ করেন। স্বামীর অবহেলা- নির্যাতনের শিকার ফেন্সি নিজ গ্রামে মায়ের বাড়ীতে বৃদ্ধ মায়ের কাছে থাকেন।

এদিকে তার সুচতুর স্বামী হরিনাথপুর ইউনিয়নের মৃত একরাম হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ (অভিযুক্ত) কাজীর নিকট ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর উল্লেখ করে অপর একটি ডুপ্লিকেট কাবিননামা তৈরী করে। ডুপ্লিকেট এ কাবিননামা হাতে পেয়ে স্বামী শাহিদুল বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিসহ তার বৃদ্ধ মাকে হুমকি-
ধামকিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।

এমতাবস্থায় ৩০ মে সন্ধা সাড়ে ৭ টায় ভুক্তভোগী আশা আক্তার ফেন্সি উক্ত মজিদ কাজীর বাড়ীতে বিষয়টি জানতে যায়। এসময় বাড়ীতে লোকজন না থাকার সুযোগে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে কাজীর শারীরিক চাহিদা মেটাতে মেয়েটিকে ধস্তাধস্তি করতে থাকলে মেয়েটি জোরপূর্বক ছাড়া পেয়ে বাড়ীতে চলে আসে।

পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত পরামর্শ পূর্বক পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে মেয়েটি অভিযুক্ত কাজীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি তার প্রতি আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..