বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন পরকীয়া সন্দেহ ও অর্থ লোভের কারণে মাহমুদার সংসারে অশান্তি বামনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ একটি ভিন্ন গণতান্ত্রিক সংসদের রূপকল্প : মজিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী পলাশবাড়ী উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় আলু ভোক্তাদের কাছে পৌঁছতে কেজি’তে ব্যবধান ১০ থেকে ১৫ টাকা দক্ষিণ কোরিয়াকে বস্ত্র-পাট ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান বস্ত্র উপদেষ্টার শিগগিরই অবশিষ্ট ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে বাংলাদেশে আরো বেশি সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের বিমসটেককে যুব, পরিবেশ, জলবায়ু সংকটের দিকে বেশি নজর দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস

পটুয়াখালীতে যুবককে মারধর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
  • ৫৮১৫ বার পঠিত

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের মোঃ মেহেদী হাসান (২৮) নামের এক যুবককে মারধর ও তার দোকানে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৮ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গতকাল রাতেই মোঃ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে বিবাদীরা হলেন- ১. মোঃ শাকিল হাং (২২), পিতা- হানিফ হাং, ২. মোঃ শাকিল হাং (২২), পিতা- আঃ খালেক হাং, ৩. মোঃ সোহেল হাং (২৮), পিতা- মোঃ ফারুক হাং, ৪. মোঃ হৃদয় হাং (২৫), পিতা- মোঃ রফিক হাং, ৫. মোঃ জহির হাং (২৫), পিতা- নাসির হাং, সর্ব সাং- খলিসাখালী, থানা ও জেলা পটুয়াখালী সহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন।

অভিযোগে বলা হয়, বিবাদীরা এলাকার দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাস ও খারাপ প্রকৃতির লোক। ১ ও ২নং সাক্ষীদ্বয় (গোপাল কর্মকার ও বিপ্লব দাস) বাদীর দোকানের মধ্যে বসে চাঁ খাইতেছিল। এমন সময় বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা- দাঁ, লোহার রড, হকস্টিক, লাঠি সোটা নিয়া পটুয়াখালী সদর থানাধীন- খলিসাখালী গ্রামের বটতলা বাজারের বাদীর মেহেদী কম্পিউটার এন্ড ষ্টেশনারী দোকানের মধ্যে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে উল্লেখিত সাক্ষীদের সহিত ক্রিকেট খেলার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে মারধর করিয়া জখম করে।

বাদী তখন বিবাদীদেরকে দোকান হতে বের হয়ে যাইতে বললে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে তাকেও মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে এবং দোকানের মধ্যে থাকা একটি ফটোকপির মেশিন সহ বিভিন্ন মালমান ভাংচুর করে প্রায় ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও তারা দোকানের মধ্যে থাকা একটি ল্যাপটপ, যার আনুমানিক মুল্য ৪৫,০০০/- (পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা ও নগদ ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) টাকা এবং দোকানের মধ্যে থাকা ৩টি মোবাইল সেট, যার আনুমানিক মূল্য ৫,০০০/- পাঁচ হাজার) টাকা জোর পূর্বক ভাবে নিয়ে যায়।

পরে বাদী সহ অন্যান্যদের ডাকচিৎকারে সাক্ষীরা সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে সাক্ষীরা ১নং সাক্ষীকে (গোপাল কর্মকার) সহ বাদীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এরপর শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..