বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেলা অবেলা : স্বপ্না রহমান ডিএসইসি’র নতুন সভাপতি ডিবিসি’র মুক্তাদির অনিক ডিএসইসি’র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের আলো’র জাওহার ইকবাল খান ডিএসইসি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক উত্তরদক্ষিণে’র শহীদ রানা ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ ২ যুবক গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যলাইন বিতরণ ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ

আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভুয়া ভোটার তৈরি: কোটি টাকার বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
  • ৫৮২২ বার পঠিত

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচন প্রত্যক্ষ ভোটে না হলেও আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

তবে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে ২৫০ জনের অধিক ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সাধারণ ভোটারদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে এফবিসিসিআই এর কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ২৫০ জনের অধিক ভুয়া ভোটার তৈরি করে তাদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা বাণিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ ভোটাররা প্রশাসক নিয়োগ করে আসন্ন নির্বাচন পরিচালনা করার দাবী জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে অনেক পুরাতন ভোটারকে জোর করে বাদ দেওয়ার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে, এর ফলে বিনা কারণে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ব্যক্তিরা হাইকোর্টে মামলা করে সুবিচার পাওয়ার আশা করছেন।

ইতোমধ্যে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ৫০ টি এসোসিয়েশন হতে ভোটারের নাম প্রেরণ করা না হলেও এগুলো হতে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে প্রতি সংগঠন হতে ৫ জন করে ২৫০ জন ভুয়া ভোটার করা হয়েছে।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ন্ত্রিত সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশন হতে অন্তত ৭ জন এমডির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে ঢাকার নবাবপুর রোডের ৫ জন, এনার্জি কোম্পানিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি আজম জে চৌধুরীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া ৫ জন, প্রাইভেট ইকোনমিক জোনস এসোসিয়েশনের সভাপতি এএসএম আব্দুল মোনেমের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ জন মুদি দোকানীকে ভুয়া ভোটার, রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্প মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহেল বারীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া ৫ জন মুদির দোকানিকে ভোটার করা হয়েছে; বাংলাদেশ লুব ব্লেন্ডার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ্’র স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৫ জন; বাংলাদেশ মেরিন সার্ভেয়ারস এসোসিয়েশন এর সভাপতির অজান্তে ৫ জন ভুয়া ভোটার; বাংলাদেশ স্টার্চ এন্ড ডেরিভেটিভস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতির অজান্তে ৫ জন্য ভুয়া ভোটার এবং বেসিক কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফ্রেশ গ্রুপের মোস্তফা কামালের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৫ জন ভুয়া ভোটার করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রত্যেক ভুয়া ভোটাদের কাছ থেকে সদস্য করার বিনিময়ে ১ হতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে বর্তমান সিনিয়র সহ- সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি আমিন হেলালি, পরিচালক আবু মোতালেব, পরিচালক আবু নাসের, পরিচালক আমজাদ হোসেন, পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা, পরিচালক পদপ্রার্থী নিয়াজ আলী চিশতী, এবং সভাপতি জসীমউদ্দীনের ভাগনা আওলাদ হোসেন রাজিবের প্রত্যক্ষ যোগসাজশে এফবিসিসিআই কর্মকর্তা খান মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, সৈয়দ আমিরুল ইসলাম নাদিম (পিএস টু প্রেসিডেন্ট), শামীমুর রহমান ও এডভোকেট জামিলের কারসাজিতে ভুয়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ জুন নাম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও ১১ জুন রবিবার বিকাল পর্যন্ত ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছে। অনেক সংগঠনের সভাপতিকে ডেকে নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সভাপতির নিজের ভোট রেখে বাকী ৪ টি ভোটারের নাম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। যেসব সভাপতি রাজি হচ্ছেন না তাদের টিও লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনির নেতৃত্বাধীন প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এসোসিয়েশনসহ মোট ২০টি সংগঠনের লাইসেন্স এফবিসিসিআই এর সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করা হয়েছে। অথচ শতাধিক ভুয়া সংগঠন বহাল তবিয়তে ভোট বাণিজ্য করে যাচ্ছে। বিতর্কিত পরিচালক আবু মোতালেব আসন্ন নির্বাচনে এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইবুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক সভাপতি একে আজাদ।

বিতর্কিত পরিচালক আবু মোতালেব ও ভুয়া ভোটারের কারণে স্বচ্ছব্যক্তি এ কে আজাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। *ভোটাররা মনে করেন প্রত্যেকটি সংগঠনের সভাপতিকে ডেকে ভোটার তালিকা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত করা প্রয়োজন*। অনেকেই আবার এই অদক্ষ নির্বাচন বোর্ড বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন।

ইতিপূর্বে তিনবার ব্যবসায়ীদের মধ্য হতে প্রশাসক নিয়োগের নজীর রয়েছে। যেহেতু বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিনের মেয়াদ মে মাসের ১৯ তারিখে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাই সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন কে প্রশাসক নিয়োগ করে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ হাফিজুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান ভুয়া ভোটারের বিষয়ে অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..