শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক শব্দ : বিএনপি মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টার সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ জনগণের সঙ্গে থেকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন : তারেক রহমান জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে একশ’ কোটি টাকার অনুদান ২শ’ কোটি ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ, দেখার যেন কেউ নেই মুরাদনগরে গোমতীর নদীর পানি কমার সাথে সাথে ভাঙনে দিশেহারা মানুষ মির্জাগঞ্জে ইউপি সদস্যের দাপট

শরণখোলায় সন্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পিতার সংবাদ সম্মেলন

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩
  • ৫৮৫২ বার পঠিত

সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিতা মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ ।

২২ জুলাই সকাল ১১ টায় রায়েন্দা পাঁচরাস্তার মোড়ে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দ্বিতীয় কণ্যা মেহেনাজ আক্তার(২৯) অতিশয় দূর্দান্ত বেপরোয়া, সংসার বিনষ্টকারী, ঝগড়াটে ও লোভী প্রকৃতির।

১৩ বছর বয়স থেকেই ছেলেদের সাথে ঘোরাফেরা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করা এবং কখনও কখনও বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাওয়াই ছিল তার নেশা ও পেশা। পরিবারের অজান্তে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকা গিয়ে গার্মেন্টসএ চাকরি শুরু করে এবং ওই গার্মেন্টস এর এক কর্মচারিকে বিবাহ করে ময়মনসিংহ চলে যায়। সেখানে ১৬ বছর দাম্পত্য জীবনে ১৪ বছরের এর ১টি ছেলে ও ১১ বছরের ১টি মেয়ে থাকা অবস্থায় গোপনে ২/৩ যায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে সেখান থেকে তালাকপ্রপ্ত হয়ে ১১ বছরের কণ্যাকে নিয়ে আবার শরণখোলা উপজেলার পহলানবাড়ী এলাকার আমার বাড়িতে সে আশ্রয় নেয়।

আশ্রয় নেয়ার কয়েক দিন পর জমা-জমির ভাগ ও টাকা পয়সার ভাগ চায়। পরে তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, থানা অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা আওয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে শরিয়া বিধান মতে তার পাওনা জমি-জমা লিখে দেয়া হয়।

তাতে তার মন না ভরলে আবারও টাকা চেয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার সূত্র ধরে আমার প্রতিপক্ষ ডঃ মাসুমবিল্লাহ ও আমার ভাগ্নে মিজান বিশ্বাসের ইন্দনে গত ১৭ জুলাই দুপুরে একটি ঘর দখলকে কেন্দ্র করে মেহেনাজ একটি ‘দা’ দিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করে কিন্তু আমার পুত্র-কণ্যা কাছে থাকায় তারা তা প্রতিহত করে যার জন্য এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পাই।

ওই ঘটনার সময় কাহারো শরীরে ধাক্কা লেগে মেহেনাজ একটি লোহার দরজার উপর পড়ে যায় এবং পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, মেহেনাজ এ ঘটনার পর বানিয়াখালী নিবাসি আমার ভাগ্নে মিজান বিশ্বাসের কু-পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে মার-ধরের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াইয়া সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমি আমার মেয়ের কাছে নিরুপায় হইয়া প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা কামনা করি।

এব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে মেহেনাজ আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার বাবাকে দা দিয়ে কোপ দেইনি বরং তার স্ত্রী ও সন্তানেরা আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..