বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

তাড়াইলে পাট চাষে বাম্পার ফলন, সোনালী আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত কৃষক

আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৯২৬ বার পঠিত

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সোনালী আঁশ পাট চাষে সুদিন ফিরেছে কৃষকের। শস্য ভান্ডার খ্যাত তাড়াইল উপজেলায় এ বছরের পাট মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭৯৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গত বছর ৭৪৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। এ মৌসুমে উপজেলায় দেশি ১২৫ হেক্টর, তোষা ৬৩ হেক্টর, কেনাফ ৪৩২ হেক্টর এবং মেস্তা ১৭৫ হেক্টরসহ মোট ৭৯৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা পাট চাষ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছে কৃষক। কৃষকরা পাট কেটে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং বাজারে বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে, নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। অনেক কৃষকই বলছেন পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে।

উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের বোরগাঁও গ্রামের কৃষক রিপন মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। পাট উৎপাদন হয় প্রায় ৮-১০ মণ। যার বাজারদর প্রায় ২২-২৪ হাজার টাকা। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়। গত বছর ভরা মৌসুমে প্রতি মণ পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। গতবছর সর্বশেষ প্রায় ৪ হাজার টাকা মণ পাট বিক্রি হয়েছে। ফলে যারা পাট ভরা মৌসুমে বিক্রি না করে রেখে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ১০-২০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছেন। এ বছর ভালো দামে পাট বিক্রি করতে পারবে এমনটাই আশা করছেন পাট চাষিরা।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা জানান, গত বছর পাটের আবাদকৃত জমির পরিমান ছিল ৭৪৮ যা এবছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৯৫ হেক্টরে পৌঁছেছে। উপজেলার ধলা, জাওয়ার, দিগদাইড় ও তালজাঙ্গা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। তাই অনেক কৃষক পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আগামীতে পাট চাষিদের নিয়ে আরো ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..