রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ তাড়াইলে দুই জুয়ারী গ্রেফতার

বগুড়ায় বারোমাসি মুলা চাষে ঝুকছে কৃষক

এনামুল হক রাঙ্গা (বগুড়া) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮৩০ বার পঠিত

বগুড়ার  শিবগঞ্জে বারোমাসি মূলা চাষ করে ভাল ফলন পাচ্ছে কৃষকরা। বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দামও  পাচ্ছেন কৃষকেরা ।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মূলা সাধারণত শীতকালীন সবজি হলেও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণে এ উপজেলায় সারা বছরই মুলা চাষ হচ্ছে। সাধারনত ৪০-৪২ দিনের মধ্যেই মূলা বিক্রির জন্য উপযোগী হয়ে উঠে।
সু-নিষ্কাশিত বেলে দোআশ মাটি মূলা চাষের উপযোগী। এবার খরিপ-২মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে মূলা চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও চাষ হচ্ছে ২৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বাঘমারা, তালিবপুর, কৃষ্ণপুর, মধুপুর, বালুপাড়া, আঁচলাই, রায়নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মুলা ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা। যেখানে প্রতি বিঘা জমির মূলা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকা। আর বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকা।

উপজেলার তালিবপুর এলাকার কৃষক মো. মাজেদ আলী বলেন, মূলার বাজার দর একেক দিন একেক রকম। আমি ৩ বিঘা জমিতে মূলা চাষ করেছি। জমিতেই পাইকাররা ৩ লক্ষ টাকা দাম করছে কিন্তু আমি রাজি হইনি। আশা করছি দাম  আরো বাড়বে।

কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, পর পর দুইবার মূলার বীজ বপন করছিলাম পোকার জন্য গাছ বড় হতেই পারেনি, নষ্ট হয়ে যায় জমির মূলা। আমার খরচের টাকায় উঠেনি। এখন ২০ শতক জমিতে মূলা চাষ করছি। এক সপ্তাহের মধ্যে মূলা বাজারে তুলবো। এখন দাম ভালো হওয়ায় গতবারের লোকসান পুষে উঠতে পারবো।

মূলার পাইকার মোঃ কাওসার আলী এবং ওমর ফারুক বলেন, আমরা প্রতিদিন কয়েক ট্রাক মূলা এই এলাকা থেকে কিনে ঢাকার বাজারে পাঠাই। তবে এই বাজার স্থিতিশীল নয়। তাছাড়া শীতকালীন মূলার চেয়ে গ্রীষ্মকালীন মূলার বাজার দর বরাবরই ভালো থাকে।

উপজেলার রহবল ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, অমৌসুমের ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। তিনি আরো জানান, রহবল ব্লকে ১০-১৫ হেক্টর জমিতে সারা বছরই কৃষকরা মূলা চাষ করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল মুজাহিদ সরকার বলেন, কৃষির নানা ধরনের ফল, ফসল ও শাকসবজিতে ভরপুর শিবগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলার কৃষকরা সারা বছরই বিভিন্ন সবজির চাষ করে থাকে। অসময়ের ফসল উৎপাদনে সুদক্ষ এখানকার কৃষকরা। বিভিন্ন কৃষি উপকরণ (বীজ, সার, বালাইনাশক) কৃষকদের চাহিদা মত তাদের দোরগোড়াই পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..