লেখক: আরিফুর রহমান সুজন:
বেতাগী আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফলতম মানুষটির নাম এবিএম গোলাম কবির। বাংলাদেশের অন্যতম কনিষ্ঠতম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সময় সাধারণ জনগনের কাছ থেকে উপাধি পেয়েছিলেন “বেতাগী উন্নয়নের রুপকার “। এরপর বেতাগী পৌরসভার মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানেও তিনি তার সাফল্য ধরে রেখে রেখেছেন। তার হাত ধরেই বেতাগী পৌরসভা প্রথম শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় শ্রেনীতে উন্নত করেছেন। বেতাগী পৌর নাগরিকদের চোখের মনি হয়ে উঠেছেন তিনি। পৌরবাসি তাকে ভালোবেসে বলে ” আধুনিক পৌরসভার রুপকার “
যার নামের আগে “বেতাগী উন্নয়ন রুপকার ” বা “আধুনিক পৌরসভার রুপকার ” বলা হয় এটা থেকে সহজেই বোঝা যায় তিনি বেতাগীবাসীর জন্য বা উন্নয়নের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা থেকে আজ পযর্ন্ত বেতাগী উপজেলার এমন কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড নেই যেখানে তার হাতের ছোঁয়া লাগেনি।
বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও তিনি সফল, এবিএম গোলাম কবির তার সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জনাব মাকসুদুর রহমান ফোরকান কে নিয়ে বেতাগী উপজেলা আওয়ামীলীগ কে একটি পরিবারের মত আগলে রেখে পরিচালনা করছেন। বিগত স্থানীয় সকল নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর একক জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন এবিএম গোলাম কবির।
বরগুনা জেলায় একটা কথা প্রচলিত আছে যে এই জেলায় সবচেয়ে সুসংগঠিত কমিটি হলো বেতাগী উপজেলা আওয়ামীলীগ।
অনেকে বলে কবিরের কপাল ভালো বা লাকি ম্যান সেটা যাই হোক তার ব্যক্তিগত ক্যারিশমাটিক ক্ষমতা প্রবল। তার স্মার্ট চেহারা, অসাধারণ বক্তৃতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,মেধা যে কাউকেই সহজে নজর কারতে সক্ষম। তার সাথে যারা সময় কাটান তারা বুঝবেন বেতাগীবাসী ও বেতাগীর উন্নয়নের জন্য তার চিন্তা -ভাবনা। তিনি এত প্রভাবশালী হয়েও তৈরি করেননি কোন ক্যাডার বাহিনী, নেই চাঁদা বাজীর অভিযোগ।
বাস্তব উদাহরণ : ( আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম) তিনি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান তখন সান্ধাকালীন অফিসে বসে বলেছিলেন আমি বরিশালে দেখেছি বিবির পুকুর কত সুন্দর আমার ও ইচ্ছা আমাদের উপজেলা পরিষদের পুকুর টাও এই রকম করার। ২০২২ সালে এসে তিনি তার তার স্বপ্ন পূরন করলেন
এর থেকে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির ভালো ও উন্নয়ন মূলক চিন্তা কি থাকতে পারে আমার জানা নেই।
তার পিতা মরহুম আব্দুল মান্নান মৃধা সাহেব কে নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নাই। সাবেক বেতাগী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ বাংলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মৃধা। এমন পিতার সন্তান হিসেবে এবিএম গোলাম কবির গর্ব করতেই পারেন।
এবিএম গোলাম কবির ছিলেন সাবেক উপজেলা ছাএলীগ সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থেকে বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসেন নাই। তিনি সফলতার সিঁড়ি বেয়ে আজ বেতাগীবাসীর প্রানের মানুষে ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই বারের মেয়র এখনও কি তিনি ( MP) হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না । অবশ্যই রাখেন। বরগুনা -২ আসনে আওয়ামীলীগে তার মত রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড কার আছে ?
মনোনয়ন কাকে দিবেন সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। তবে তিনি যোগ্য দাবিদার এতে কোন সন্দেহ নেই আর যারা তার মনোনয়ন চাওয়াতে সমালোচনা করেন তাদের কতটুকু জ্ঞান আছে আমি জানি না।
উপরের লেখায় মনে হতে পারে আমি তাকে তৈল দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। কিন্তু আসলেই কি তাই ? উপরের লেখায় কোন ভুলে বা মিথ্যা তথ্য হলে আপনারা বলেন বা চ্যালেন্স করতে পারেন।
বেতাগীর উন্নয়নের স্বার্থে তাকে (MP) হিসাবে দরকার। তার দরকার নেই তিনি যদি রাজনীতি থেকে এখন অবসর নেন তাতে তার কোন ক্ষতি নেই ক্ষতি হবে বেতাগীবাসীর থেমে যাবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা । অনেক নেতাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানি চিনি তার মত এই অবস্থায় থাকলে বেতাগীটাকে তারা বিক্রি করতেও দ্বিধা করতো না।
সমালোচনা : রাজনীতিতে সমালোচনা আছে এবং থাকবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যখন এবিএম গোলাম কবির কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন তখন আপনার বা মন্তব্যকারীর অবস্থান কোথায় থাকা উচিত ?
(লেখক: আরিফুর রহমান সুজন)