বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

হারিয়ে গেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য সমৃদ্ধ মাটির হাঁড়ি পাতিলের দোকান

মোঃ শাকিল আহমেদ, বামনা ( বরগুনা ) প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৫৮০৯ বার পঠিত

মোঃ শাকিল আহমেদ, বামনা ( বরগুনা ) প্রতিনিধিঃ

বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প। সেই সাথে প্রায় হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীণ সংস্কৃতির নানান উপকরনাদি ও গৃহস্থালি নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।

পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য তৈরি করছে ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা। পরিবারের নারী সদস্যরা রঙের কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
পূর্বে মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল কিন্তু আজকাল অ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলা-মাইন এবং বিশেষ করে সিলভারে রান্নার হাড়ি কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কথিত আছে এ মৃৎ শিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বৎসর পূর্ব থেকে চলে আসছে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাঁড়ি কড়া, সরা,বাসন, মালসা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমস্ত উপকরণ মাটির তৈরীর জিনিস ব্যবহার করত।

কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রূপ। নতুন সাজে আবার নতুন ভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। আজ শুধু গ্রাম বাংলার নয় শহরের শিক্ষিত সমাজ ও মাটির জিনিস ব্যবহার করে। তবে তা বিচিত্ররূপে। এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন রূপ দিয়ে মৃৎ শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।

তাই পুরাতন ও পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে, বাগেরহাট জেলার এমন এক ব্যক্তির সন্ধান মেলে; বাগেরহাটের খাজা খানজহান আলী মাজার রোডে এই ব্যক্তির ভান্ডারী স্টোর নামে পরিচিত লাভ করেছে, আখেরাত বয়াতী। আখেরাত বয়াতীর নিজ জন্ম ভূমি বাগেরহাট জেলায়, মহিলা কলেজ রোডে তার বাসা, পিতা: মৃত্যু বিদার উদ্দিন। আখেরাত আলী গ্রামে সংগীত শিল্পী নামেও পরিচিত তিনি বিভিন্ন সময় সরকারি অনুষ্ঠানে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে গান করে থাকেন। ছোট বেলা থেকেই তার গান গাওয়া যেন আত্নার খোরাক মনে করেন তিনি। জৌবনে কোন এক সময় মাছের ব্যবসায় ও করেছেন তিনি, জীবনের এই শেষ বয়সে এসে প্রকৃতি ও পুরাতন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তার এই মাটির তৈরী সরমঞ্জামাদির দোকান তাও আবার নাম দিয়েছেন “ভান্ডারী স্টোর” বাদ দেননি জীবনের সাথে জড়িত আরেক পেশাকে। এবং বসেছেন এক ঐতিহাসিক স্থানে।

তার এই ভান্ডারী স্টোরে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন মাটির সামগ্রী কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, দৈ পাতিল, মুচি ঘট, মুচি বাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, চাড়ার টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, খোঁড়া, বাটি, জালের চাকা, প্রতিমা,বাসন-কোসন, মগ, গ্ল্যাস, ফুলের টপ, প্লেট ও খেলনা সহ নানা ব্যবহারিক জিনিস পত্র সামগ্রী পাওয়া যায়।

আখেরাত আলী বলেন বিগত ০৫ বছর যাবত তার এই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চলমান রয়েছে। তবে কখনো কখনো ভালো কেনা বেচা হয় আবার কখনো মোটামুটি, তবে অগ্রহায়ন মাসের ২৪ তারিখ ওরোশ, চৈত্র মাসের পূর্নিমায় মেলা এ সময় ভালো বেচা কেনা হয়, এ নিয়েই আছেন তারপর ও তিনি এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চান জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। পরিবারের তার এক স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছেন এ নিয়েই তার এই সংক্ষিপ্ত জীবন যাপন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..