পূর্ব শত্রুতা ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে গভীর রাতে সিং কেটে বসত ঘরে ঢুকে হামলা, লুটপাট ও আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যানা যায, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন বাজারঘোনা এলাকায় ২৩শে জানুয়ারী রাত ২টায় মোঃ ইরসাইল হাওলাদার এর বসত ঘরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার, জমির দলিল ও কাগজপত্র সহ মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় লুটপাটে বাধা দিতে গেলে ইসমাইল হাওলাদার সহ পরিবারের লোকদের আহত করে ও মহিলাদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। লুটপাট করার সময় ইসরাইল হাওলাদার হামলাকারীদের চিনতে পারায় ঘটনাস্থলে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে যখম করে। বর্তমানে তিনি গুরুতর জখম নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এ ব্যাপারে মোঃ ইসরাইল হাওলাদার ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা সহ ৩ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এতে মোঃ আল আমিন মাতুব্বর (৩০), মোঃ নাজমুল ইসলাম মাতুব্বর (২৫),মোঃ মিজান মৃধা (৫০) কে আসামী করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর বসত ঘরের পশ্চিম পাশে মাটি কেটে সিং কাটা। ঘরের ভিতরের ছুটকেসের তালা ভাঙ্গা ও কাপড় চোপড় এলোমেলো।
স্থানীয়রা জানান, জমি জমা নিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মন্নান মাতুব্বরের ছেলে আলামিন মাতুব্বর দের সাথে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা ছিল। এর কারনে এ হামলা হতে পারে।
ইসমাইল হাওলাদারের স্ত্রী তহমিনা বেগম বলেন, পাশের বাড়ির মিজান মৃধার নির্দেশে রাতের আঁধারে মাটি খুরে আমার ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘরে থাকা স্বর্ন অলংকার,নগদ টাকা ও জমির দলিলের কাগজ গুলো নিয়ে যায় ।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম বলেন, আমরা জমি জমা নিয়ে একটি মারামারির অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি দ্রুত সময়ে আমরা দোষীদের আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসতে পারবো।