কিশোরগঞ্জের তাড়াইল হাজী গোলাম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে পিঠা উৎসব।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এর আয়োজন করা হয়। হাজী গোলাম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি ও তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মহাজনের সভাপতিত্বে এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর তত্বাবধানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসব ২০২৪ উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘পিঠা উৎসব পুরো বাঙালি জাতিরই অন্যতম একটি উৎসব। বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ধারণ ও লালনের লক্ষ্যেই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন শুরু করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করছি। আমরা সারা বছর অনেক কর্মময় দিন অতিবাহিত করি। তাই এ কর্মচাঞ্চল্যের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতিকে সবার কাছে উপস্থাপন করতে এই আয়োজন আমরা অব্যাহত রাখব। সংস্কৃতির বড় বিষয়ই হলো উৎসব ও আনন্দ। তাই এখানে সমবেত আমরা সবাই আনন্দ করব।’
পিঠা উৎসবে বিদ্যাালয়ের ৬টি শ্রেণির মোট ৬টি স্টলের মাধ্যমে বাহারি স্বাদের পিঠা দিয়ে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা কাঁঠাল পিঠা, কুলি পিঠা (ঝাল), সুচি পিঠা (ডিম), বিবিখানা পিঠা, মোর্শেদা পিঠা, চিতই পিঠা (ভেজা), ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পোয়া পিঠা, মেরু পিঠা (মিষ্টি), চুই পিঠা-ডাবের পুডিং, ছড়া পিঠা, মিষ্টি বাখরখানি, সিদ্ধ পুলি পিঠা, খেজুরের রসের পিঠা, মুগ ডালের পিঠা, মাংসের পিঠা, ইলিশ মাছের পিঠা, চিতই পিঠা, মেরা পিঠা, ডাবের পিঠা, চাপটি পিঠা, নকশি পিঠা, দুধ কলি, চটপটি, তেলের পিঠা, মাল পিঠা, ফুচকা, বাখরখানি, লুচি, ছিট রুটি, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, ক্রাম চপ, টাকি পুরি/মুরগি পুরিসহ শতাধিক পিঠার স্বাদ নেন।
উৎসবে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাশতুরা আমিনা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক খান, হাজী গোলাম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা ও উপজেলার দামিহা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।