ভোলার চরফ্যাশনের উপকূলের সাগর মোহনায় টলিং জাহাজের ধাক্কায় মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে ঢালচরের দক্ষিনে উত্তাল মেঘনায় ২১ জন জেলে নিয়ে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন “মা শামসুননাহার” নামের মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। উত্তাল ঢেউ খর স্রোতের কারণে অপর ট্রলারে থাকা জেলেরা নিমজ্জিত ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।
সোমবার বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলে ট্রলারের মাঝি বাচ্চুসহ ২১ জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে বলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী জেলেদের বরাত দিয়ে ট্রলার মালিক কামাল খন্দকার জানান, তার মালিকানাধীন মাছ ধরার ট্রলারটি ২১ জন মাঝি মাল্লা নিয়ে এক সপ্তাহে আগে মেঘনায় মাছ শিকারে যান। রোববার রাতে ঢালচরের দক্ষিনে মেঘনায় জাল ফেলে অপেক্ষায় ছিলেন জেলেরা। এসময়ে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ট্রলিং জাহাজ মাছ ধরা ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়, এতে মুহুর্তের মধ্যে ট্রলারে থাকা ২১ জন জেলেসহ ট্রলারটি খরস্রোতা উত্তাল মেঘনা নদীতে হারিয়ে যায়। নিকটবর্তী অপর ট্রলারের জেলেরা নিমজ্জিত ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ট্রলারের মাঝি মোঃ বাচ্চু ,আল আমিন, ফারুক, জাবেদ,খালেক, হাফেজ, ইউসুব,জসিম, রফিক ও মাসুদসহ ১০জনের নাম জানা গেলেও অপর নিখোঁজ জেলেদের নাম এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে নিখোঁজ জেলেরা চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্ধা বলে জানা গেছে। চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানের জন্য কোস্টগার্ডকে অবগত করা হয়েছে। চর মানিকা জোনের কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, মেঘনায় ট্রলার ডুবি ঘটনার খবর পেয়েছি। দূর্ঘটনাস্থলের অবস্থান নিশ্চিত করে উদ্ধার অভিযানে যাওয়া হবে।