গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে করতোয়া নদী রক্ষা বাঁধ কেটে ড্রেন তৈরির অভিযোগ উঠেছে হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে। বাঁধ কেটে ড্রেন তৈরির ফলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি ভেঙ্গে অত্র এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবার প্রবল আশংকা করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বুজরুক টেংরা গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন-অর-রশিদ ২০১৭ সাল থেকে একটি সেচ পাম্প চালিয়ে আসছিল। এ বছর বাঁধের অপর পাশে জমিগুলো তার নিজের পাম্পের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার জন্য বাঁধটির প্রায় ৫৮০ ফুট জায়গা কর্তন করে ড্রেন তৈরি করেন। ড্রেন তৈরী করণে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি ভেঙ্গে পড়ার বড় ধরণের হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে ৷
এলাকাবাসী জানান, হারুন-অর-রশিদকে বাঁধ কেটে ড্রেন তৈরি করতে নিষেধ করা হলেও তিনি কারো কথা শোনেন না, কেউ নিষেধ করতে গেলে হারুন ও তার ভাগীশরীক নুরুল, লুৎফর, রাসেল, লেবুসহ বেশ কয়েকজন তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক হারুন-অর-রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শস্য উৎপাদনে সেচ প্রয়োজন তাই বাঁধ কাটা হয়েছে পরে আবার ভরাট করে দেওয়া হবে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন বলেন, বাঁধ কাটা হচ্ছে শোনার পর আমি সকালে গিয়েছিলাম, বাঁধ কাটতে নিষেধ করেছি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।