সাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় ‘চিয়া সিড’। চিয়া হচ্ছে সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ। বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। চিয়া বীজ সাদা ও কালো রঙের হয়। এবং এগুলো দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মতো।
চিয়া সিড মূলত মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া উদ্ভিদের বীজ। এটি মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে বেশি জন্মায়। এটি সাধারণত শস্যের তালিকায় পড়লেও একে এক ধরণের ভেষজও বলা হয়।
হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের মধ্য ধুসুরিয়া গ্রামের ফার্মাসিস্ট ইমরান খান গোয়ালবাগ এলাকায় তার ৩০ শতাংশ জমিতে চিয়া চাষ করেছেন। তিনি বলেন, চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরে আমি গত বছর থেকে চিয়া খাওয়া শুরু করি। এবং এবছর আমি নিজেই ছোট পরিসরে চিয়া সিড চাষ করেছি। ফলন ভালো হলে আগামী বছর বড় পরিসরে চিয়া চাষ করবো।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ সাহিদুর রহমান খান বলেন, পৃথিবীর পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।
‘অনেকেই চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ বা এটি খাওয়ার নিয়ম জানেন না। যে কারণে এই সুপারফুডকে নিজের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে চিয়া সিড খেতে পারেন’, যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, এ উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বল্প পরিসরে চারজন চিয়া সিড চাষ করেছে শুনেছি। যদি ফলন ভালো হয় তাহলে আগামীতে আমরা ব্যাপক আকারে চিয়া সিড চাষে কৃষককে সর্বাত্মক সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করব।