বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হন আ. লীগ নেতার ছেলে পাভেল, গ্রেফতার ৩

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৮০৬ বার পঠিত

গাইবান্ধা সদরে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার পর গুম করতে সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে শফিকুর রহমান পাভেলের (৩৭) মরদেহ।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা।

আটকরা হলেন, প্রতিবেশী মন্টু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (৪৪), জবিউল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (৩৬) এবং শাহ আলমের স্ত্রী অমেলা বেগম (৪২)।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান তার কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে, নিখোঁজের তিনদিন পর গতকাল (১২ মার্চ) সকালে ওই গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পাভেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পাভেল গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ আকন্দের ছেলে।

প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামী শাহীন গত শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসা থেকে পাভেলকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পাভেলকে হত্যা করে। পরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লাশ গুম করে রাখে।

এএসপি ইবনে মিজান আরও বলেন, নিখোঁজের পরদিন গেল ১০ মার্চ পাভেলের বড় ভাই বেলাল ইউসুফ বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইলে কথোপকথনের সূত্র ধরে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজের তিনদিন পর পাভেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা আসামীরা স্বীকার করেছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পাভেলের বড় ভাই গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..