দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
তদন্ত থেকে রেহাই পেতে এবার চাল না দেওয়া জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ। চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোকদের দিয়ে জেলেদেরকে ডেকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩০ কেজির এক বস্তা করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলে পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে চাল আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
সেই তদন্ত থেকে বাঁচতে এবার জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান। চালা, বাবুপুর, দিয়াবাড়ী ও কল্যাণপুর গ্রামের ১৫-২০ জন জেলেকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন ইউপি সদস্য বলেছেন, এপ্রিল মাসের ভিডাব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণ শেষ হয়নি। এছাড়া, মে মাসের চালও বরাদ্দ হয়েছে। ভিডাব্লিউবি কর্মসূচির সেই চাল থেকে জেলেদের ৩০ কেজির এক বস্তা করে চাল দিচ্ছেন চেয়ারম্যান।
চালা গ্রামের এক জেলের নাম এ বছরের বিতরণকৃত দুই তালিকাতেই রয়েছে। কিন্তু তাকে চাল দেওয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি গঠনের পরে তাকে ডেকে নিয়ে ৩০ কেজির এক বস্তা চাল দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের কথা স্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, সোমবারও কল্যাণপুর গ্রামের ১১ জনকে চাল দিয়েছি।
এতদিন পরে জেলেদেরকে চাল দিচ্ছেন কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্চে বরাদ্দ চাল আমি জুন মাস পর্যন্ত দিতে পারবো। আগে দেইনি, এখন দিচ্ছি। ৮০ কেজির জায়গায় ৩০ কেজি কেনো দিচ্ছেন এবং ভিডাব্লিউবি এর বরাদ্দ থেকে চাল দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আর চাল বিতরণের বিষয়ে আমি অবগত নই।