মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কলতা অভয়াচরণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে দুই অভিভাবক সদস্য প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। এছাড়া এক প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে প্রত্যাহার ফরমে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মোঃ সোহানুর রহমান ও মো: জুলহাস হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘিওর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেন। এরমধ্যে মোঃ সোহানুর রহমান হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের লীগের সভাপতি। অপরদিকে মো: জুলহাস হোসেন নালী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৫ জুন কলতা অভয়াচরণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন। এই নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে গত বুধবার (২৯ মে) মনোনয়ন ফরম ক্রয় করার পর থেকে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুর আলম খানের নির্দেশে আরিফুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন বিবাদী ভুক্তভোগী দুই প্রার্থী মোঃ সোহানুর রহমান ও মো: জুলহাস হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়ালে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে বিবাদীগণ কলতা বাজার থেকে অন্যান্য বিবদীগণদের সহায়তায় মোঃ সোহানুর রহমানের নিকট থেকে নির্বাচন হতে সরে দাড়ানোর জন্য জোরপূর্বক একটি প্রত্যাহার নামায় স্বাক্ষর নেয় এবং মো: জুলহাস হোসেনকে আরেকটি প্রত্যাহার নামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। এছাড়াও বিবাদীগণ অনবরত মোঃ সোহানুর রহমান ও মো: জুলহাস হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগ পত্রে।
অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মোঃ সোহানুর রহমান বলেন, মন্জুর আলম খান দীর্ঘদিন সভাপতি ছিলেন। নতুন আইন অনুযায়ী কেউ দুইবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না, তাই এবার তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।। এ কারণে তিনি চাচ্ছেন তার ছায়া হিসেবে কেউ সভাপতি হোক, যাকে সে নিজে নিয়ন্ত্রণ করবে। মন্জুর আলম খান তার লোকজন দিয়ে আমাকে এবং আরেকজন প্রার্থীকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ২০-২৫টা মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে মহড়া দেওয়াচ্ছে। আমরা খুবই শঙ্কায় আছি। আমরা নিরাপত্তা চাই এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।
আরেক অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মো: জুলহাস হোসেন বলেন, মন্জুর আলম খান নির্বাচনের জন্য বিএনপি নেতাদের নিয়ে প্যানেল গঠন করেছে। তার প্যানেলে যুক্ত না হলে নির্বাচন করতে বাধা দিচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মঞ্জুর আলম খান বলেন, কে বা কারা হুমকি দিয়েছে আমার জানা নেই। সেসময় আমি তো এলাকাতেই ছিলাম না। অভিযোগের বিষয়েও আমি কিছু জানিনা।
এ নিয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।