বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

মন্ত্রনালয়ের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে চড়ামূল্যে প্রশ্ন বিক্রি

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৫৭৬৫ বার পঠিত

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অবৈধভাবে ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৫৩টি কেজি স্কুলে চড়ামূল্যে প্রশ্ন বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সকল বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলগুলোর শিক্ষক অভিভাবকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের স্ব স্ব সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র কম্পোজ করে ফটোকপির মাধ্যমে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা রয়েছে। এ মর্মে ২০২৩ সালের ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তর ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন নির্দেশনা স্পষ্টীকরণ’ শীর্ষক এক পত্র জারি করেন।

এই পত্রের নির্দেশকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিস সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলগুলোতে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন। এতে সরকারি স্কুলের প্রতিসেট প্রশ্ন ১২ টাকা ও কেজি স্কুলের প্রশ্ন ২০ টাকা করে নিয়েছেন। প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়নে অংশ নেওয়া প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী বাবদ আনুমানিক দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জাড্ডা প্রভাতী কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মহসীন জানান, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ৩৫ সেট প্রশ্নপত্রে শিক্ষা অফিসের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিমগীর হোসেন ৭শ’ টাকা নিয়েছেন। একই কর্মকর্তা রামচন্দ্রপুর হাজী আবদুস সালাম শিশু একাডেমির পরিচালক হাফেজ নজরুল থেকেও ৩০ সেট প্রশ্ন বাবদ ৬শ’ টাকা নিয়েছেন বলে তিনি জানায়।

কোম্পানীগঞ্জ শিশু বিদ্যা নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুল হক জানান, ৩৭ সেট প্রশ্নপত্রে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়সাল ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুল হাছান ৭শ’ টাকা নিয়েছেন। বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার হালদার বলেন, ৫০ সেট প্রশ্ন বাবদ এক হাজার ১শ’ টাকা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিমগীর হোসেন বলেন, প্রশ্ন তো আমি নিজেই বিক্রি করেছি। তবে সরকারি স্কুলের টাকাগুলো এখনো পাইনি।

মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সকল ক্লাস্টারের সমন্বয়ে কেজি স্কুলের সাথে আলোচনা করে প্রশ্ন তৈরী করা হয়েছে। কত টাকা বিক্রি করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।

কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম বলেন, প্রথমে স্কুল প্রতি প্রশ্ন, না পারলে ক্লাস্টার অনুযায়ী প্রশ্ন করে পরীক্ষা নিতে পারবে। প্রশ্ন করতে যা খরচ হয়, তা নেওয়ার কথা রয়েছে। চড়া মূল্যে প্রশ্ন বিক্রির কোন বিধান নেই। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..