ভোলার সাগর মোহনায় জাহাজের ধাক্কায় একটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার। এ ঘটনায় জেলে পরিবারে চলছে আহাজারি। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে তিনি বলেন, সোমবার আমরা আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছ মাস্টার ও স্থানীয় পর্যায়ে তথ্য পেয়েছিলাম সাত জেলে উদ্ধার ও ১৪ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। আজ সকালে আমরা ওই ট্রলার মালিক কামাল খন্দকারের কাছ থেকে পুরো তথ্য নিশ্চিত হই।
ট্রলার মালিক কামাল খন্দকার বলেন, ওই ট্রলারে থাকা আমার ছোট ভাই হাফেজ মিস্ত্রিকে (৩৫) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জেলে। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ড কাজ করছে।
আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছ মাস্টার জানান, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল উদ্ধার হওয়া হাফেজ মিস্ত্রি ফোন করে বলেন, তিনি সাগরে ঘণ্টা ভেসে ডাঙায় উঠেছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমরা ভুল শুনেছি। মূলত ২১ জেলে নিয়ে ট্রলার ডুবে গেছে। একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল এমরান প্রিন্স জানান, আমার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল খন্দকারের একটি মাছ ধরার ট্রলার ২১ জেলে নিয়ে সাগর মোহনার উদ্দেশে রওনা হয়। সোমবার ভোরের দিকে ঢালচর ইউনিয়নের চরের নিজামের দক্ষিণ পূর্বদিকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সাগর মোহনায় একটি জাহাজ তাদের মাছ ধরার ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার খবর শুনেছি। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া অন্য আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার একজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ২০ জন জেলে। ট্রলার মালিক কামাল খন্দকার জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য ঢালীর হাট মাছ ঘাট থেকে দুটি ট্রলার গভীর সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে বৈরী আবহাওয়া ও ঝড়ের কারণে উদ্ধার অভিযানে না নামলেও আজ সকালে কোস্টগার্ডের এটি টিম উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।