বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষন মামলায: একজনের যাবজ্জীবন ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪
  • ৫৭৮৩ বার পঠিত

গাইবান্ধায় ৯ বছরের একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৭ জুন ২০২৪ ইং তারিখ দুপুর ২ ঘটিকায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে রায় প্রদান করেছেন বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল- ২ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মোঃ আ: আলিম @ আঙ্গুর (৩৭), পিতা মৃত আছাব আলী, গ্রাম- পারাইল, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা। মামলার নথি থেকে জানা যায় ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট বিকাল ৬.২০ মিনিট এ বাড়ির পাশে জনৈক শাহারুল ইসলামের দোকানে বাদাম কিনে ফেরার পথে আসামি ভিকটিম মোছাঃ খাদিজা আক্তার বৃষ্টিকে (৯) বিভিন্ন কথা বলার ছলে নিজ বাড়িতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভিকটিম শিশুকে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ধর্ষিত শিশুটি বাড়িতে গিয়ে গোপনাঙ্গের ব্যথায় কান্নাকাটি করলে ভিকটিমের মাতা মোছাঃ বিউটি বেগম কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে ভিকটিম জানায় তার সাথে আসামী খারাপ কাজ করেছে।

পরবর্তীতে ভিকটিম এর মাতা মোছাঃ বিউটি বেগম এজাহারকারী হিসেবে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার জি.আর নাম্বার ৪৯৬/২০১৮, গোবিন্দগঞ্জ থানার মামলা নং – ৪৯ তারিখ ২৮/০৮/২০১৮ । অত্র মামলায় আসামি পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্নাল-২ গাইবান্ধা বদলী হয়ে আসলে মামলা নম্বর হয় ৩৭/২০১৯। বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় অত্র মামলায় ১২ জন সাক্ষী মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। বিচারিক আদালত জেরা জবানবন্দী সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভিকটিম প্রাপ্ত হবেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন ও এপিপি আবেদুর রহমান সবুজ। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবু আলা মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..