রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হত্যা মামলায় শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে : পিটিআইকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলের সাথে এ কেমন শত্রুতা ? ৭দফা দাবিতে তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘ভূমিহীন’ থেকে ১৫ বছরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয়ে অভিনন্দন তথ্য উপদেষ্টার বিএসএফের গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে ভারতকে আহমদ শফী আশরাফী’র নিন্দা বামনায় সাংবাদিকদের সাথে ” আলোকিত সমাজ”র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিন যেতে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : মন্ত্রণালয় ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ

জুবায়ের আহমদ জুয়েল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৭৭৮ বার পঠিত

জুবায়ের আহমাদ জুয়েল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মৃত বারী শাহ’র দাবীকৃত খেলাফত প্রাপ্ত কথিত পীর লুৎফর রহমানের আস্তানায় অপরিচিত লোকদের আনাগোনা ও দেওথান গ্রামের সরকারি রাস্তায় বিল্ডিং নির্মাণে অনিয়ম বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আল মামুন খান।

উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের দেওথান গ্রামের মৃত আবদুল বারী খানের ছেলে আল মামুন খান
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চলতি বছরের মে মাসের ৫ তারিখে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তাড়াইল টু নীলগঞ্জ সড়কে দেওথান গ্রামের বেতাইব্রীজ সংলগ্ন আস্তানায়ে লুৎফর শাহ নির্মাণকৃত বিল্ডিং টি সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে সড়কের উপর তৈরী করা হয়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনসহ মানুষ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। উক্ত বিল্ডিং সংলগ্ন স্থানে অনিয়মভাবে রোড আইল্যান্ড দেওয়ায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাসাদের মালিক কথিত পীর লুৎফর রহমান উক্ত এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় সে কারও কথাই কর্ণপাত করছেন না। দ্বিতীয় অভিযোগে আল মামুন খান উল্লেখ করেন,
আমি উক্ত গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দেওথান গ্রামে কথিত পীর লুৎফর রহমানের আস্তানার আশপাশে প্রায় সময় অপরিচিত কিছু লোকের সন্দেহ জনক ঘুরাঘুরি দেখতে পাই। লোকদেরকে জিজ্ঞেস করে তাদের ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাই। কেহই উক্ত এলাকা বা আশপাশের এলাকার নয় বলে জানতে পারি। একেক জন একেক রকম কথা বলায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা কথা না বলে দ্রুত আস্তানার ভিতরে ঢুকে পড়ে ও গেইট বন্ধ করে দেয়। পরে এলাকবাসীর কাছে আরও জানতে পারি, এই কয়েকজন লোক গত রমজান মাসের আগে থেকেই এখানে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে বের হয়। এমনকি মুসলমানদের বৃহৎ ঈদ উৎসবেও তারা তাদের পরিবার পরিজনের কাছে যায়নি। কোনো দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র নয় তো? এরা এখানে কি করে এলাকাবাসীর প্রশ্ন ও সন্দেহ! এছাড়াও পূর্বে এই আস্তানায় শিশু মৃত্যু, নারী কেলংঙ্কারিসহ একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানেও তার ভক্তদের অশোভন কথাবার্তার অডিও, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই। যা স্বাভাবিকভাবে সুশীল সমাজের কাছে নিন্দিত ও সমাজ বর্হিভূত। তাই বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, দড়িজাহাঙ্গাীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের কাছে জিজ্ঞেস করেন তিনিই সব বলতে পারবেন। হেলাল উদ্দিনের কাছে কথিত পীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লুৎফর রহমান তিনি একজন পীর মানুষ। আমি তার আস্তানায় সবসময় আসা-যাওয়া করি। আপনি সারারাত পীরের আস্তানা পাহাড়া দেন এবং সড়কে ঘুরাঘুরি করেন কথাটা কতঠুকু সত্যি। এ কথার উত্তরে তিনি বলেন, যা শুনেছেন তা সত্যি।

তাড়াইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক খানের কাছে শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক হেলাল উদ্দিন রাতের পর রাত পীরের আস্তানা পাহারা দিয়ে দিনে স্কুলে এসে বাচ্চাদের কিভাবে ক্লাস করায় বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।

এ বিষয়ে কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর দায়ের করা লিখিত অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন পীর মানুষ। আমার কাছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসা-যাওয়া করে। তারা দিনের পর দিন আমার আস্তানায় অবস্থান করেন। এতে কোনো সমস্যা আছে বলে আমি দেখছি না। এছাড়াও পূর্বে এই আস্তানায় শিশু মৃত্যু, নারী কেলংঙ্কারিসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ঘঠনা একটা সময় ঘঠেছিল, এখন আর এসবের কোনো আওয়াজ নাই। আপনার ভক্তদের অশোভন কথাবার্তার অডিও, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসবের আমি কোনো তোয়াক্কা করি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন এর কাছে কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ দুটি পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাশতুরা আমিনা ও তাড়াইল থানা (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ কর্মকর্তা মনসুর আলী আরিফের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..