শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
হত্যা মামলায় শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে : পিটিআইকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলের সাথে এ কেমন শত্রুতা ? ৭দফা দাবিতে তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘ভূমিহীন’ থেকে ১৫ বছরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয়ে অভিনন্দন তথ্য উপদেষ্টার বিএসএফের গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে ভারতকে আহমদ শফী আশরাফী’র নিন্দা বামনায় সাংবাদিকদের সাথে ” আলোকিত সমাজ”র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিন যেতে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : মন্ত্রণালয় ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৭৭৬ বার পঠিত

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি :

উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির তীব্র স্রোত আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র আন্ধারমানিক ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা অস্থায়ী বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ধসে মাটি বের হয়ে আসে। এতে তীব্র ভাঙন আতংকে পড়েছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে পদ্মা ভাঙন রোধে খালপাড় বয়ড়া ও ভাওড়ডাঙ্গী এলাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার সিসি ব্লক ফেলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাকি এলাকা ২০১৬ সাল থেকে উপজেলার ধূলশুড়া থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। তাতেও যেন থামছে না পদ্মার করাল গ্রাস। প্রতি বছরই কোনো না কোনো এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত বাড়ি, জমিজমাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

চলতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোতে আবারও নদীতীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে আপদকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে অস্থায়ী নয়, ভাঙন রোধে স্থায়ী বেরিবাঁধের দাবি স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দীন জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে প্রবল স্রোতে কিছু কিছু জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। এর ফলে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার আন্দারমানিক ঘাট সংলগ্ন এলাকার উজানে এবং ভাটিতে প্রায় ৩০০ মিটার ভাঙনকবলিত অংশে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও-ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান আছে। এ বছর বন্যার তীব্রতা বিগত সময়ের থেকে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে হয়ত বিভিন্ন অংশে আরও ভাঙন দেখা দিতে পারে। তবে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও ভাঙন দেখা দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..