দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির তীব্র স্রোত আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র আন্ধারমানিক ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা অস্থায়ী বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ধসে মাটি বের হয়ে আসে। এতে তীব্র ভাঙন আতংকে পড়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে পদ্মা ভাঙন রোধে খালপাড় বয়ড়া ও ভাওড়ডাঙ্গী এলাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার সিসি ব্লক ফেলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাকি এলাকা ২০১৬ সাল থেকে উপজেলার ধূলশুড়া থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। তাতেও যেন থামছে না পদ্মার করাল গ্রাস। প্রতি বছরই কোনো না কোনো এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত বাড়ি, জমিজমাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
চলতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোতে আবারও নদীতীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে আপদকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে অস্থায়ী নয়, ভাঙন রোধে স্থায়ী বেরিবাঁধের দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দীন জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে প্রবল স্রোতে কিছু কিছু জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। এর ফলে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার আন্দারমানিক ঘাট সংলগ্ন এলাকার উজানে এবং ভাটিতে প্রায় ৩০০ মিটার ভাঙনকবলিত অংশে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও-ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান আছে। এ বছর বন্যার তীব্রতা বিগত সময়ের থেকে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে হয়ত বিভিন্ন অংশে আরও ভাঙন দেখা দিতে পারে। তবে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও ভাঙন দেখা দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ।