এলাকাবাসী ও নিজ পরিষদের মেম্বরদের কাছে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ১নং লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস বাচ্চু। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ইউপি মেম্বররা সম্মিলিতভাবে তার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে।
২২ আগষ্ট বেলা ১১টায় লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ৩ শতাধিক নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় ইউনিয়নের ৩ নাড়ি ইউপি সদস্য ও ৬ ইউপি সদস্য সহ মোট ৯জন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।
জানা যায়, ব্যপক জনপ্রিয়তা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২০২২ সালের ১৫জুন লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ইলিয়াস বাচ্চু। এর আগেও তার যুবক বয়সে একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও ব্যপক সমালোচনার মুখে আড়াই বছর কাজ করে পরিষদ ছাড়েন। বর্তমান সময়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও বদমেজাজ এর কারণে সমর্থকদের কাছে প্রতিনিয়ত হয়ে উঠেছে বিষের কাটা। বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় সময় দীর্ঘদিন অনুপস্থিতিসহ সহকর্মীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান ইলিয়াসের যন্ত্রণায় ২ বছরের মধ্যে ৫ বার সচিব পরিবর্তন হয়। সুদৃষ্ট নিয়ম থাকার পরও টিসিবির পণ্য নিজের পছন্দমত স্থানে নিয়ে বিতরণ করা হয়। টিসিবির কার্ড থাকার পরও বহু দরিদ্র মানুষ পন্য না নিয়ে খালি হাতে ফিরে যায়। সরকারী টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ইউনিয়নের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোট ১৭৫০০০ টাাকা আত্মসাদের গুঞ্জন রয়েছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে তিন শতাধিক নাড়ি পুরুষের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য ছাত্র আান্দলনের সদস্য সজিবুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমার খোকন, গাজী হাবিবুর রহমান,, মোঃ নাসির উদ্দিন, শাহনাজ পারভিন প্রমূখ।