নিজেস্ব প্রতিবেদক:
মামলা করতে টাকা লাগে বলে টাকা দাবী করেছেন বরগুনার বেতাগী থানায় কর্মরত এসআই মনির । বেতাগী থানায় মামলা করতে এলে বাদীর কাছে ঢাকা দাবী করেন এসআই মনির। আর এসব মুঠোফোনে রেকর্ড করেন ওই কথোপকথন চলাকালীন কাছে থাকা কেহ।
গত কয়েকদিন আগে এসআই মনিরের টাকা চাওয়ার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।এ নিয়ে বরগুনা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ এলাকায় চলছে তোলপাড়। ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ অনেক ভুক্তভোগী।
অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, এসআই মনির বলছেন কি কইতে চান কন দেহি, ভুক্তভোগী বলছেন দিমু স্যার কইছি স্যার দিমু, পরে এসআই আবার বলছেন দেন না কেন দেওয়ার পর মামলা রুজু হবে। ভুক্তভোগী বলছেন এরেঞ্জ করতে একটু দেরী হচ্ছে এখন বাজে রাত ১২টা , এসআই-আগে দেওনাই কেন? ভুক্তভোগী-আপনি যখন বলছেন তখন থেকেই চেষ্টা করতেছি, এসআই-তোরা যে একটা খারাপ মানুষ আমি কিন্তু সেটা বুঝাইয়া দিমু, ভুক্তভোগী-আমি বারবার কইছি স্যার আপনার কাছে সব আমি এটা অস্বীকার করিনা, এসআই-টাকা না দেলে মামলা হবেনা যান বাসায় যান, ভুক্তভোগী-ঢাকা থেকে আইসা স্যার এখন পর্যন্ত দানা-পানি খাইতে পারি নাই, এসআই- সেটা আপনার ব্যাপার আপনে দানা-পানি খাইছেন না খাবেন সেটা আপনার ব্যাপার সেটা আমার ব্যাপার? এসআই-ফেসবুকের হো…. মারতেছে এইহানে বইয়া, ভুক্তভোগী-ফেসবুকে ও দেছে হেইডা দেখলাম, এসআই-কি আপনারা কি করছেন কন দেহি আমি ৮টার সময় বইলা গেছি, ভুক্তভোগী-আপনি আমারে বিকেল বেলা বেইলা দেছেন না ? ওই সময় হইতে ট্রাই করতেছি, এসআই-কির ট্রেই করতেছি ট্রাই করতেছি, ভুক্তভোগী -টাকা যা ছিল তা তো লইয়াই গেছে আমি ৫০০ টাকা ধার করছি বাসস্টান্ডের মামুন ভাইর দোকান থেকে, এসআই-যান মামলার টাকা লইয়া আন তারপর মামলা হবে যান। ওই এসআইকে আবার অরেকজনের সাথে কথা বলতে শোনা যায় যে সে বলছে শোনেন আমি বলছি মামলা করতে টাকা লাগে কিন্তু সে আমারে কুত্তার মতো একটা আটা রুটি লইয়া আমারে গুরাইছে সেই ৮টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত যেহেতেু আমি আইছি সেহেতু মামলার সব দায়-দায়িত্ব আমার নাহ? দুইটা টাকা দিলেও তো সেটা আমার ধারে দিবে, ইনি তো একজন হুজুর মানুষ কয় লেখেন লেখা হইলে সবকিছু আছে, হেইয়ার পর কয় অনেক ট্রাই করছি পারি নাই। তাহলে আমারে বেইজ্জতি করলেন কেন? কোন চাল খেলবেন না আমি কথা বলবো শুধু শোনবেন। আপনি যদি অনেক পাওয়ার ফুলও হন তাহলেও আমি টিকে থাকতে পারবো আর আপনি যদি মনে করেন আমি আপনি অল-ইন-অল তাহলে আপনি চ্যাটের বাল!
এ বিষয়ে এসআই মনিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার অফিসার ইন চার্জ মো: মাহাবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন থানায় মামলা করতে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনি যে বিষয় নিয়ে বলছেন সে বাদির এজাহার রুজু করা হয়েছে। বাদি পক্ষ গোপনে তাদের কথোপকোথন রেকর্ড করছে সেটা আমি জানি। তবে এসআই মনির যদি কারো কাছে টাকা চেয়ে থাকে বা নেগেটিভ কিছু বলে থাকে তার দায়-দায়িত্ব তার এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
অডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=jgUu4AZ0UR8