স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা, ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহারে সরকারী-বেসরকারি ও পতিত সকল সম্পত্তি রাখেন নিজের দখলে। যিনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাফর শিকদার। চলনে- বলনে সাদাসিদে হলেও উপজেলার নিকটাত্মীয় কিছু নেতা ছাড়াও স্থানীয় ভাবে তার মামা ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি, মা ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ নেত্রী ও নিজেও আওয়ামিলীগ নেতা থেকে স্থানীয় পরিবারতান্ত্রীক প্রভাবে হযেছেন ইউপি সদস্য। স্বশিক্ষিত জাফর স্কুলের গন্ডি পার না করলেও এলাকায় চলেন ব্যপক দাপট নিয়ে। স্থানীয় শিক্ষিত জনগনের ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে নিয়মিত অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেই চলছেন।
রট, সিমেন্ট, বালু ব্যবসার আড়ালে বাড়ি সংলগ্ন আন্দুয়া কে এম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে তৈরি করেছেন বালু ও ইটের খোয়া রাখার গোলা। এছাড়াও সরকরী বিদ্যালয়ের বারান্দা এক পাশ দখল করে গড়েছেন গোয়াল ঘর। এতে ওই স্কুলের শিশু শিক্ষার্থী সহ শিক্ষকরা পড়েছেন চরম বিরম্বনায়। এ নিয়ে স্কুল কমিটি থেকে মির্জাগঞ্জ ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে।
অভিযোগ আছে, জাফরের বাড়ির নিকটে প্রবাহমান একটি খাল ভরাট করে গড়ে তুলেছেন বালু রাখার গোলা ও সেখানে দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাবাসীর সঙ্গে প্রায়ই দন্দে জরিয়ে পরে। এলাকায় মাদক বিক্রির মদদদাতা মেম্বর জাফর। এলাকায় জাফরের নেতৃত্বে কালাম মেম্বরের বাড়ি ও মহিষকাটা বাজার এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি জুয়ার আসরের স্পট রয়েছে। বহিরাগতদের নিয়ে জুয়ার আসর বসিয়ে সে জুয়ারুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য জাফর শিকদার বলেন, খাল আমার নানার জায়গা। ওখানে আমাদের ৮করা জমি আছে।আমাদের ঘর ভেঙে যাওয়ায় ওখানে ভরাট করে বালু রেখে ব্যবসা করি। জমি আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি। স্কুলের মাঠ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যন নির্বাচনের সময় যৌথভাবে ভরাট করছি। স্কুলের মিটিংয়ে রেজুলেশন খাতায় লেখা আছে। স্কুল মাঠে ইটের খোয়া আমার না। গত শনিবার বন্যার সময় গরু দৌড়াইয়া স্কুলের বারান্দায় উঠছে কিন্তু সব সময় থাকে না। আপনি চাইলে নিউজ করতে পারেন সমস্যা নাই।