সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

মেট্রোরেল প্রথম অংশের ট্রায়েল আগামী রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১২৫ বার পঠিত

আগামী রোববার প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। এর আগে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল। পরীক্ষামূলক বলে এ চলাচলে যাত্রী পরিবহন করা হবে না।

ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এ–সংক্রান্ত এক ওয়েবিনারে আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর মানুষ আগামী বছর ডিসেম্বরে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। ঢাকা ও এর আশপাশে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পারফরম্যান্স টেস্ট তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শুরুতে উত্তরা থেকে তিনটি স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে মেট্রোরেল। গত মাসে দ্বিতীয় ধাপে তা সম্প্রসারণ করে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ছয়টি স্টেশনে আসে। শেষ ধাপে রোববার আগারগাঁও পর্যন্ত পারফরম্যান্স টেস্ট শুরু হবে। এসব কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবে। মাঝখানের চারটি কোচ হচ্ছে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবে ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী চড়তে পারবে।

কোম্পানি সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের পারফরম্যান্স টেস্টের অংশ হিসেবে প্রথম কোনো অংশে চলাচলের শুরুতে গতি থাকে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ মিরপুর-১০ থেকে আগারগাঁও অংশে ১৫ কিলোমিটারের কম গতিতে ট্রেন চলবে। অবশ্য ট্রেন উত্তরা থেকে মিরপুর-১০ পর্যন্ত অনেক আগে থেকেই পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। ওই পথে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তোলা হয়েছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুৎ–চালিত। সংকেত, যোগাযোগসহ ১৭ থেকে ১৮টি ব্যবস্থা ট্রেন চলার ক্ষেত্রে কাজ করে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইনের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মিত হয়েছে। এ পথে ১৬টি স্টেশন থাকবে। ইতিমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে ছয়টি স্টেশনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি স্টেশনগুলোর কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রেললাইন ও বিদ্যুৎ–ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্প সূত্র বলছে, একটি ট্রেনের ছয়টি কোচের মধ্যে দুই প্রান্তের দুটি কোচকে বলা হচ্ছে ট্রেইলর কার। এতে চালক থাকবেন। এসব কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবে। মাঝখানের চারটি কোচ হচ্ছে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবে ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চড়তে পারবে। সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) এই ট্রেনের দুই পাশে সবুজ রঙের প্লাস্টিকের দুই সারি লম্বা আসন পাতা হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..