দেশের ছয় রুটের সবকটি ফেরিতে গাড়ি পারাপারের ভাড়া ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। একইভাবে ঢাকা-বরিশালসহ উপকূলীয় রুটগুলোতে সংস্থাটির যাত্রীবাহী নৌযানে যাত্রী ভাড়া জনপ্রতি ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পাশ করেছে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি সম্প্রতি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম, ফেরি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ বৃদ্ধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ার কারণেই এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ফেরিতে গাড়ি পারাপারের ভাড়া বৃদ্ধির উদ্যোগে হতাশা প্রকাশ করেছেন পরিবহণ মালিকরা। তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর থেকে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বেড়েছে। এবার ফেরিতে গাড়ি পারাপারের ভাড়া বাড়ানো হলে সেটিও সরাসরি যাত্রীদের ঘাড়ে চাপবে। যাতায়াত খরচ বাড়তে থাকায় যাত্রী চলাচল কমে যাচ্ছে। একইভাবে পণ্য পরিবহণ ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। এর মাশুল গুনতে হবে সাধারণ মানুষদের।
তারা আরও জানান, ফেরিঘাটগুলোতে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে। গাড়ি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন ভাড়া কার্যকর করা হলে তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ফেরিতে বাস ও ট্রাক ছাড়া অন্যান্য যানবাহন পারাপারে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই সময়ে যাত্রীবাহী নৌযানে জনপ্রতি ভাড়া বাড়ানো হয় ৪০ শতাংশ। পরে ২০১৬ সালে লাহারহাট-ভেদুরিয়া এবং ২০১৭ সালে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরিতে গাড়ি পারাপারে ভাড়া বাড়িয়েছিল বিআইডব্লিউটিসি।
সূত্র আরও জানায়, ফেরির প্রস্তাবিত নতুন ভাড়া কার্যকর হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সারা দেশের যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরিতে পার হতে একটি বড় বাসের খরচ এক হাজার ৪৬০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে এক হাজার ৮২৫ টাকা। বাসের আরোহী ৩৬ জনের যাত্রীর ভাড়া যুক্ত করে প্রতিটি বাসের বর্তমান খরচ এক হাজার ৮২০ টাকা। সেটি বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ২৭৫ টাকা (যাত্রীপ্রতি ২৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি ধরে) হবে। এ রুটের একেকটি বাসের প্রতি ট্রিপেই খরচ বাড়বে ৪৫৫ টাকা। এ হিসাবে ৩৬ আসনের বাসের একেকজন যাত্রীকে বাড়তি গুনতে হবে ১৩ টাকা; যা টিকিটের সঙ্গে আদায় করে নেবেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে চলাচলকারী বাসের যাত্রীদের খরচ তুলনামূলক আরও বাড়বে। যাত্রীদের ভাড়া ছাড়াই একটি বাস ফেরিতে পার হতে গুনতে হয় এক হাজার ৫৮০ টাকা। নতুন ভাড়া কার্যকর হলে তা দাঁড়াবে এক হাজার ৯৭৫ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাসের আরোহী যাত্রীদের ভাড়াও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ও অপারেশন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ি ও নৌযানে যাত্রী পরিবহণের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়। নতুন ভাড়া নির্ধারণ না হলে সংস্থাটি চলতে পারবে না। ফেরিঘাটগুলোতে অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিসির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং লাহারহাট-ভেদুরিয়া-এই ছয়টি রুটে সংস্থাটির ফেরি চলাচল করে। এসব রুটের ফেরিতে বাস পারাপারে বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত হারে ভাড়া নেওয়া হয়। এর সঙ্গে বাড়তি যুক্ত হয় বাসের আরোহীদের ভাড়াও। বাসের আসন হিসাবে জনপ্রতি ১০ টাকা বা তার বেশি হারে ভাড়া নেয় বিআইডব্লিউটিসি।
তারা জানান, এবার যানবাহন পারাপারের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে বাসের আরোহীদের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চিঠিতে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। যানবাহনের পারাপারে ভাড়া বাড়ার পর যাত্রীভাড়াও নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের ভাড়া কত শতাংশ বাড়বে তা নির্ধারণ করা হয়নি।
তারা আরও জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে বাসের আরোহী যাত্রীদের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তবে বাসের আরোহী ছাড়া ফেরিতে পার হওয়া লুজ যাত্রীদের ভাড়া সব রুটেই ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাস মালিকদের অভিযোগ-ফেরিঘাটগুলোতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন বিআইডব্লিউটিসির মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বাড়তি টাকা না দিলে ফেরিতে গাড়ি তুলতে গড়িমসি করা হয়। যাত্রীবাহী বাসের বদলে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও সাকুরা বাসের মালিক এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সরকারি নথি অনুযায়ী পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরিতে একটি বাস পারাপার ভাড়া এক হাজার ৪৬০ টাকা। এর সঙ্গে ৩৬ জন যাত্রীর ভাড়া আরও ৩৬০ টাকা। সবমিলিয়ে প্রতিটি বড় বাসে এক হাজার ৮২০ টাকা নেওয়ার কথা। বাস্তবে আদায় করছে দুই হাজার টাকা। পুরো টাকার স্লিপও দেয় না।
তিনি বলেন, বরিশালগামী একটি বাসে ফেরি ভাড়া ছাড়াও দুটি সেতুতে ২০০ টাকা টোল এবং মাদারীপুরে চাঁদাও দিতে হয়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বাসের ভাড়া বাড়ানোয় জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ১৩০ টাকা বেড়ে গেছে। এখন ফেরিতে গাড়ি পারাপারে ব্যয় বাড়লে যাত্রীপ্রতি ভাড়াও আরও বাড়বে। এভাবে ভাড়া বৃদ্ধি যাত্রীদের জন্য দুঃসহ হয়ে উঠছে।
ঘাটে টাকা দেওয়ার পরও সেবা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন সোহাগ পরিবহণের মালিক ফারুক তালুকদার সোহেল। তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পার হতে ফেরিতে ৮-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে। এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে গিয়ে যাত্রী ও চালকরা অধৈর্য হয়ে পড়েন। আগে যাত্রীবাহী বাস পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। এখন টাকার বিনিময়ে নিত্যপণ্যের নামে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
ফেরিতে গাড়ি পারাপার : বিআইডব্লিউটিসির সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর নথির মাধ্যমে নতুন ভাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ। প্রস্তাবিত ওই ভাড়া আদায়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গত ১ ডিসেম্বর নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জেসমিন আরা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ভাড়া বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ডিজেলের দাম শতকরা ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে যাত্রীবাহী নৌযান ও ফেরির তেল ক্রয় খাতের ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে। এছাড়া নৌযানের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ অন্যান্য খাতের ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। ব্যয় সমন্বয়ের জন্য ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোন রুটে কত বাড়বে : জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতিয়ায় ফেরি পার হতে একটি বড় বাসের ভাড়া এক হাজার ৪৬০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৮২৫ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাসের আরোহীদের ভাড়া। বর্তমানে একটি বাসে ৩৬ জন যাত্রী হিসাবে বাস থেকে আদায় করা হচ্ছে এক হাজার ৮২০ টাকা। রাতে সেই টাকা আরও বেড়ে যায়। নতুন ভাড়া কার্যকর হলে এক হাজার ৮২৫ টাকার সঙ্গে আরও যুক্ত হবে যাত্রী ভাড়া ও আনুষঙ্গিক ফি।
একইভাবে এ রুটের পার হওয়া পাঁচ থেকে আট টনের ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ভাড়া ১০৬০ থেকে বেড়ে ১৩২৫ টাকা এবং আট থেকে ১১ টনের ট্রাক, লরি বা কাভার্ডভ্যানের ভাড়া ১৪৬০ থেকে বেড়ে ১৮২৫ টাকা হবে। মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও বড় টেম্পো পারাপারে ব্যয় ৮০০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা হবে। আর কার ও জিপের ভাড়া ৪৫০ থেকে বেড়ে ৫৬৩ টাকা হবে। একইভাবে অন্যান্য যানবাহনের ভাড়াও বাড়বে।
অপরদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি পার হতে একটি বড় বাসের বর্তমান ভাড়া ১৫৮০ টাকা। আরোহী ৪৩ জন যাত্রী ধরে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দিনে ২০১০ টাকা আর রাতে ২০৬০ টাকা। রাতে বাস পারাপারে আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়ার নামে প্রতিটি বাস থেকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা নেওয়া হয়। নতুন ভাড়া কার্যকর হলে ওই বাসের ভাড়া ১৫৮০ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৯৭৫ টাকা। এর সঙ্গে আরোহী যাত্রী ভাড়া ও আনুষঙ্গিক ফিও যুক্ত হবে।
এ রুটের পাঁচ থেকে আট টনের ট্রাকের ভাড়া ১৪০০ থেকে বেড়ে ১৭৫০ টাকা এবং ৮-১১ টনের ট্রাক, লরি বা কাভার্ডভ্যানের ভাড়া ১৮৫০ থেকে বেড়ে ২৩১৩ টাকা হবে। মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও বড় টেম্পো পারাপারে ব্যয় ৮৬০ থেকে বেড়ে ১০৭৫ টাকা হবে। আর কার ও জিপের ভাড়া ৫০০ থেকে বেড়ে ৬২৫ টাকা হবে। একইভাবে অন্যান্য যানবাহনের ভাড়াও বাড়বে।
চাঁদপুর থেকে শরীয়তপুর রুটে চলা ফেরিতে একটি বড় বাসের ভাড়া যাত্রীসহ নেওয়া হয় ২১৭০ টাকা। শুধু বাসের ভাড়া নেওয়া হয় এক হাজার ৭০০ টাকা। সেটি বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ১২৫ টাকা। এর সঙ্গে বাসের আরোহীদের ভাড়াও বাড়তি দিতে হবে।
এ রুটের পাঁচ থেকে আট টনের ট্রাকের ভাড়া এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ৮-১১ টনের ট্রাক, লরি বা কাভার্ড ভ্যানের ভাড়া এক হাজার ৮৫০ থেকে বেড়ে দুই হাজার ৩১৩ টাকা হবে। মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও বড় টেম্পো পারাপারে ব্যয় এক হাজার থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৫০ টাকা হবে। আর কার ও জিপের ভাড়া ৬৮০ থেকে বেড়ে ৮৫০ টাকা হবে।
একইভাবে অন্যান্য যানবাহনের ভাড়াও বাড়বে। একইভাবে আরিচা-কাজিরহাট, ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং লাহারটার-ভেদুরিয়া রুটে ফেরি পার হতে প্রত্যেক যানবাহনকে ২৫ শতাংশ বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
যাত্রী পরিবহণ : ঢাকা-বরিশালসহ উপকূলীয় কয়েকটি রুটে যাত্রীবাহী নৌযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিসি। ওইসব নৌযানের যাত্রীদের ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত এমভি বাঙালি ও মধমুতিসহ রকেটের প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের ভাড়া এক হাজার থেকে বেড়ে এক হাজার ২০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের ৬৩০ থেকে বেড়ে ৭৫৬ টাকা এবং তৃতীয় শ্রেণির ভাড়া ১৭০ থেকে বেড়ে ২০৪ টাকা হবে।
চট্টগ্রাম-হাতিয়া-বরিশাল উপকূলীয় রুটের চলাচলকারী নৌযানে চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল পর্যন্ত দূরত্বের জন্য প্রথম শ্রেণির ভাড়া ৩০৫০ থেকে বেড়ে ৩৬৬০ টাকা ও সুলভ শ্রেণির ভাড়া ৪৫০ থেকে বেড়ে ৫৪০ টাকা হবে। চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল দূরত্বে এমভি তাজউদ্দীন আহমদ নৌযানে প্রথম শ্রেণির কেবিন ২২৯৫ থেকে ২৭৫৪ টাকা এবং সুলভ শ্রেণির যাত্রীর ভাড়া ৬৩০ থেকে বেড়ে ৭৫৬ টাকা হবে। কুমিরা-গুপ্তচরা পর্যন্ত এমভি আইভি রহমান নৌযানে প্রথম শ্রেণির কেবিন ৫০০ থেকে বেড়ে ৬০০ টাকা ও সুলভ শ্রেণির যাত্রীর ৮০ থেকে ৯৬ টাকা। একইভাবে অন্যান্য নৌযানের যাত্রী পরিবহণে ভাড়াও বাড়বে।