চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ প্রায় শতাধিক কর্মীসমর্থক আহত হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় সাতটি মামলা ও পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। দিন দিন নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেছে জেলা প্রশাসন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, সে যেই হোক তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা হবে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে কি না মাঠ পর্যায়ে সেটিও পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। নির্বাচনের দুই দিন পূর্ব থেকেই মোট পাঁচ দিন কেউ লাইসেন্স করা কোনো অস্ত্র বহন বা ব্যবহার করতে পারবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) তৌফিক -ই-লাহী চৌধুরী বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। কোনো প্রকার সংঘাত-সহিংসতা নয়, বরং জনগণের মন জয়ের চেষ্টা করার জন্য তিনি উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসক বলেন, একটি উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ তাদের পবিত্র ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আমাদের সহযোগিতা করুন আমরা একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বিগত দুইটি ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেন, ওই সময়ের মতো সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। কেউ ভোট ছাড়া অন্য চিন্তা করার সুযোগ নেই। মতবিনিময় সভায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান, ওসি শাহীন ফকির ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।