শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে বিএনপি’র আনন্দ মিছিলে হামলার অভিযোগে মামলা বেতাগীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা পটুয়াখালী হোমিওপ্যাথিক কলেজের ডা. ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলে অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের অভিযোগ প্রবাসীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও দামি গাড়ি নিয়ে কেয়ারটেকার পলাতক, মামলায় ধীরগতি বেতাগীতে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর আত্মহত্যা নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা চাই : ড. সাখাওয়াত দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন কালো টাকায় সাবেক যুগ্মসচিব নিশীথ কুমার সরকারের সম্পদের পাহাড়! বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শৌজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপনের বিরুদ্ধে বামনায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপে চলছে দূর্ঘা উৎসব

ভোলায় ১৪০ শিখন কেন্দ্রে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১১৯ বার পঠিত

ভোলায় করোনাকালীণ সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে আনতে ১৪০টি শিখন কেন্দ্রে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। ৪ হাজার ২শ শিক্ষার্থী এ সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে বই ও উপকরণ। আউট অব স্কুল চিলন্ডেন কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে ভোলা সদর ৪৫টি ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৯৫টি কেন্দ্র চালু করা হয়। প্রতিদিন সুবিধামত ৩-ঘন্টা ওই কেন্দ্র খোলা থাকবে। ৩০জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। সরকারের উপানুষ্ঠানিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটি। কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আলী রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সহকারী পরিচালক ফরহাদ হাসান আজাদ, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার জিহাদ হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনছুর ও প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউনুছসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের পাশপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা জানায়, এমন কেন্দ্র চালু হাওয়ায় তারা খুশি। অভিভাবকরা জানান, স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা আবার লেখা পাড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। এটা তাদের কাছে বড় পাওয়া বলেও মনে করেন তারা। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সব কেন্দ্রে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হবে বলে জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির ম্যানেজিং ডাউরেক্টর মোঃ ইউনুছ। তিনি জানান, এক বছর আগে দুই দফা জরিপ করে ঝরেপরা শিক্ষার্থী বাছাই করেন। প্রতি কেন্দ্রের জন্য বই ও উপকরণ বিতরণ করা হয়। উপ-আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির সহকারী পরিচালক ফরাদ হাসান আজাদ জানান, ভোলায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে লেখা পড়ায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারা দেশে ৯ লাখ শিক্ষার্থীকে এমন সুবিধা দেয়া হবে। বুধবার উত্তর দিঘলদী হাওলাদার বাড়ি কেন্দ্রের শিক্ষক সালমা বেগম জানান, তার এলাকা থেকে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। ফলে যে সব শিক্ষার্থী স্কুলে আর যায় না। তাদের নিয়েই তার কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন উপকরণ পেয়ে শিক্ষার্থীরাও খুশি। প্রথম দিন থেকেই ক্লাসকে মুনমুক্ত করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ বেড়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..