বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ভারতের পাঞ্জাবে আদালতে বিস্ফোরণের নেপথ্যে ‘বাব্বর খালসা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৯১১ বার পঠিত

ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় আদালতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত রয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন বাব্বর খালসা। শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউজএইটিন এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, বাব্বর খালসার প্রধান ওয়াধাওয়া সিং স্থানীয় গ্যাংস্টার হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দা সিংয়ের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবারের ওই হামলা চালান। হামলায় এক ব্যক্তি নিহত এবং কয়েকজন আহত হন।

নিউজএইটিনের খবরে বলা হয়েছে—বাব্বর খালসার মূল উদ্দেশ্য হলো ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র তৈরি করা। এ গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড চলে মূলত কানাডা, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ভারতের কিছু অংশে। সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে রিন্দা পাকিস্তানে পালিয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিস্ফোরণ ঘটাতে পাঞ্জাবের কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সক্রিয় করেন।

পাঞ্জাব পুলিশ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো হামলার একাধিক বিষয় তদন্ত করছে। তারা এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যও দেখছে। এতে বলা হয়েছে, লাহোরভিত্তিক একটি খালিস্তানপন্থি গোষ্ঠী লুধিয়ানার কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসীর সহায়তায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছে।

ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করছে। তবে, সন্ত্রাসের দিকটিই তারা প্রধান হিসেবে বিবেচনা করছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো পাঞ্জাব সরকারকে সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছরের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর হস্তক্ষেপের বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে।

সূত্র আরও জানায়, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এখতিয়ার বাড়াতে কেন্দ্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপও হামলার কারণ হতে পারে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ অক্টোবর বিএসএফের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা বাড়ানোর জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ১৫ কিলোমিটারের বিপরীতে ৫০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বিএসএফ কাজ করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস। তারা কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। সীমানার অধিকার বাড়ানোর এ পদক্ষেপকে রাজ্যগুলোর অধিকারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে এবং বিস্ফোরণের তীব্রতা আরডিএক্স ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। আদালতকে লক্ষ্যবস্তু করায় এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..