লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চত্ত্বরে পোড়ানো হলো বিপুল পরিমাণ ব্যবহার উপযোগি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে সরকার। সেখানে বিনামূল্যে মানুষকে ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরকারিভাবেই প্রদান করা হয়। যা রেজিস্টারের মাধ্যমে ওষুধ ক্রয় ও বিতরণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এর মাঝে যখন কোন ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তখন কর্তৃপক্ষ তা বাছাই করে সিজার লিস্ট করে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। আর রেজিস্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণের কারণও লিপিবদ্ধ করা হয়।
গত কাল বিকেলে প্রায় এক বস্তা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম হাসপাতাল চত্ত্বরেই আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা। তবে এসব ওষুধ ব্যবহার উপযোগী। প্রায় ওষুধের মেয়াদ রয়েছে ৩ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। ব্যবহার উপযোগী এসব ওষুধ কেন পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলো তার সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটির সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ওষুধ রাখার স্টোর রুমটি সাময়িক সময়ের জন্য অন্য রুমে স্থান্তরিত করা হয়। তাই স্টোর রুমের আবর্জনাগুলো সড়িয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, এখানে স্টোর রেজিস্টার ইচ্ছা মাফিক তৈরি করা হয়। ওষুধ আসার পরিমাণ যেমন কাগজ আর বাস্তবতায় অমিল। অনুরুপ ভাবে রোগীদের মাঝে বিতরণেও কাগজ কলমের সাথে বাস্তবতায় অমিল থাকে। তাই ওষুধ সরকারের মুল্যবান সম্পদ হলেও তারা কাগজ কলম ঠিক রাখতে অতিরিক্ত ওষুধ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের আগে এভাবেই সড়িয়ে আগুনে ধ্বংস করা হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, গত এক সপ্তাহে কোন ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণের সিজার লিস্ট হয়নি। তবে স্টোর রুম পরিবর্তন করায় উক্ত রুমে আবর্জনাগুলো সড়িয়ে পোড়ানো হয়েছে। সেখানে ব্যবহার যোগ্য ওষুধই নয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও থাকার কথা নয়। আমার জানামতে হাসপাতালের স্টোরে কোন মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নেই।