নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোটারদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, ভোট যত বেশি পড়বে, আমি তত বেশি খুশি। আমি চাই ভোট বেশি কাস্ট হোক। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর আদর্শ স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না। চারটার পর মন্তব্য করবো।
এদিকে ইভিএমে ভোট নেওয়ার কারণে অনেক ধীরগতিতে ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। অন্যদিকে তার ছোটভাই ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদুল আলম খোরশেদ অভিযোগ করেছেন, যে সব কেন্দ্রে হাতি প্রতীকের ভোট বেশি সেখানে ভোটগ্রহণ স্লো করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচ না করা, ইভিএমে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকায় সাধারণ ভোটারদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক কেন্দ্রে ভোট নেওয়ার সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সাধারণ ভোটারদের প্রশিক্ষণ দিতেও দেখা গেছে।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এবার তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছেন পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)। এ ছাড়া সিটির ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা মনে করছেন, মেয়র পদে মূল লড়াইটা হবে আইভী ও তৈমুরের মধ্যে।