শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে জাতীয় উলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঈদ উপলক্ষে অসহায় শিশুদের মাঝে এসো গড়ি ফাউন্ডেশন’র পোশাক বিতরণ ঈদে নাড়ির টানে ঘড় মুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ: গাইবান্ধা পুলিশ সুপার গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী পদ পেতে ২০ কোটি টাকার মিশনে মোসলেহ উদ্দীন ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-বাঞ্ছারামপুর সড়কের কাজ দ্রুত শুরুর তাগিদ এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত মির্জাগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের সব পুড়ে ছাই বান্দরবানের থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধন করা পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ভোলার চরাঞ্চল

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬১১৬ বার পঠিত

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):

পরিযায়ী পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়েছে ভোলার চরাঞ্চল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সুদূর সাইবেরিয়া, তিব্বত ও মঙ্গলিয়া থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নিয়েছে ভোলার দ্বীপ চরগুলোতে। তবে এর মধ্যে জলচর পাখি বেশি দেখা মিলেছে। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ডানা মেলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য যেন মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। দু’পাশে পাখিদের কিচির-মিচির আওয়াজ আর কলকাকলি শোনা যায়। এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সকাল-বিকেল।
ভোলার চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, চর নিজাম ও মনপুরাসহ বেশ কিছু স্থানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। একটু দূরে তাকালেই দেখা যায় দল বেঁধে সারি সারি পাখির মেলা। এখানকার অন্তত ২০টি চরে আশ্রয় নিয়েছে এসব পাখি। অতিথি পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে একদিকে বেড়েছে বনাঞ্চলের সৌন্দর্য অন্যদিকে পর্যটকরাও ছুটে আসছেন পাখি দেখতে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটকদের আগমন কিছুটা কম বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।চরাঞ্চলে বসতি নির্মাণ, চারণভূমি, খাদ্য সংকট আর শিকারিদের কারণে এ বছর পাখিদের আগমন কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাখি শিকার বন্ধ এবং জনগণকে আরও বেশি সচেতন করা গেলে পাখিদের আগমন আরও বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য তাদের। পাখি দেখতে আসা পর্যটক মো. হারুন বলেন, চরে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় পরিযায়ী পাখি। দলবেঁধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য সত্যিই অতুলনীয়। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগে। এ কারণে অনেকেই এই চরে পাখি দেখতে ছুটে আসেন।
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ঢালচর, মনপুরা, কলাতলীর চর, চর কুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চর শাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, ডেগরারচর সহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝের চর, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের আনা-গোনা। সকাল বিকেল খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় এদের। ডানা মেলে উড়ে চলা ও পাখিদের কলকাকলীতে মুখর থাকে চরগুলো। এ বছর ভোলার উপকূলীয় চরাঞ্চলে ৫৮ প্রজাতির ৩৩ হাজার পাখি আশ্রয় নিয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। ক্লাবটি ১৯৯৬ সাল থেকে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকায় পাখি শুমারি করে আসছে। এ বছরও ৯-১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯দিনব্যাপী পাখি শুমারি করেছে তারা। তাদের তথ্য মতে, উপকূলে গত ২২ বছরে জলচর পাখির আগমন কমেছে ৭০ ভাগ। যা খুবই উদ্বেগজনক। বার্ড ক্লাবের সদস্য এমএ মুহিত বলেন, পাখিদের আবাসস্থলে গরু-মহিষ এবং মানুষের বিচরণ, খাদ্য সংকট, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত নানা কারণে পাখিদের সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, এ বছর ৫৮ প্রজাতির মোট ৩৩,০৬৪টি জলচর পাখি গণনা করা হয়েছে। এরমধ্যে উল্লোখযোগ্য- বৈশ্বিকভাবে বিপন্ন পাখি দেশি গাং চষা ৫৪০টি এবং বাদামী মাথা গাংচিল । ৪১৬২টি পাওয়া গেছে।
এদিকে উপকূলে পাখি রক্ষায় সক্রিয় রয়েছে বন বিভাগ। কুকরি, ঢালচরসহ বিভিন্ন চরে নিয়মিত টহল চলছে বলে জানিয়েছেন কুকরি-মুকরি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, এবার চরে অনেক পরিযায়ী পাখির সমাগম হয়েছে। পাখিদের আগমনে মুখরিত চরাঞ্চল। তবে শিকারীদের দৌরাত্ম্য নেই। আমাদের টহল এবং সোর্স রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..