চলতি বছর সারের ভর্তুকিতে লাগবে ২৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এ বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি লাগবে।
আজ শনিবার ঢাকায় এফডিসিতে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে’ ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সবার জন্য নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এ জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের অনেকগুলো ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও অনেকগুলো স্থাপনের উদ্যোগ চলছে।’
বিদেশে রপ্তানি করার ক্ষেত্রেও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিরাপদ ফসল উৎপাদনের প্রচেষ্টা চলছে। উত্তম কৃষিচর্চা মেনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি মেনে ফসল উৎপাদিত হলে খাবার যেমন নিরাপদ ও পুষ্টিকর হবে, তেমনই রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকিং হাউস ও ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। সরকারের এ সব পদক্ষেপের ফলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হবো।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হলে সাধারণ মানুষের আয়ও বাড়াতে হবে। আয় বাড়াতে না পারলে, জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে ভেজাল ও অনিরাপদ খাবারের প্রকোপ আরও বাড়বে। সেজন্য, মানুষের আয় বৃদ্ধি ও গ্রামীণ কৃষিজীবী বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করতে সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যের অর্থকরী ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। একই সঙ্গে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।