নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘শ্রমিকের অধিকার, ন্যায্য পাওনা ও যথাযথ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকার এ কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪৪-তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে গতকাল সোমবার এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গত ১৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ অধিবেশনে অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কর্তৃক আইএলও’র ২৯টি দলিলে অনুসমর্থনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে জোরপূর্বক বা জবরদস্তিমূলক শ্রম সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন, ১৯৩০-এর প্রটোকল-২০১৪ অনুসমর্থন করেছে, যা দেশে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার পথে একটি কাযর্কর পদক্ষেপ। এ ছাড়া বাংলাদেশ গতমাসে কর্মে যোগদানের ন্যূনতম বয়স সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থন করেছে।
২২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুসমর্থন দলিল আইএলও’র কাছে হস্তান্তর করবে বাংলাদেশ। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ দুটি দলিলে অনুসমর্থন দানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আইএলও’র আটটি মৌলিক দলিলে অনুসমর্থনদানকারী দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে।’
কোভিড-১৯ অতিমারিকালে সরকারের নেওয়া বহুমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য উন্নততর কাজের পরিবেশ তৈরির চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনকরণ, শ্রম সংক্রান্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তিকরণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ কার্যকর করতে সরকার মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।’
প্রতিনিধিদলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত শ্রম সচিব জেবুন্নেছা করিমসহ অন্যরা উপস্থিত রয়েছেন।