মনজুর মোর্শেদ তুহিন (জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী):
সল্প আয়ের মানুষদের জন্য সাড়াদেশ ব্যাপী টিসিবি বাজারের তুলনায় কম মূল্যে পন্য বিতরণ করছে। পটুয়াখালীতেও গত ৭ই মার্চ থেকে চলছে টিসিবি’র পন্য বিতরণ কার্যক্রম। সমগ্র পটুয়াখালী জেলায় সকল নিম্ন আয়ের মানুষ ভোগ করবে এই বিশেষ সুবিধা।
এই রমজানে জেলায় মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১,১১,৩১০ জন। প্রথম পর্যায় পন্য দেয়া শুরু হয় ৭ এপ্রিল থেকে এবং উপকারভোগীর সংখ্যা ৪০,৯২৭ জন ইতিমধ্যেই তাদের পন্য নিয়েছেন এসব পন্যের মধ্যে ছিল মশুর ডাল ২ কেজি যার মূল্য ১৩০ টাকা, সোয়াবিন তেল ২ লিঃ যার মূল্য ২২০ টাকা এবং চিনি ২ কেজি যার মূল্য ১১০ টাকা মোট মূল্য ৪৬০ টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৭০,৩৮৩ জন বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন জায়গা থেকে টিসিবি’র পন্য নিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ কেজি ছোলা যুক্ত হয়ে মোট মূল্য দাড়িয়েছে ৫৬০ টাকা। উপকারভোগীরা প্রবিত্র রমজান উপলক্ষে এই পন্য পাবেন ২২ এপ্রিল পর্যন্ত। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মোট ২৮ জন ডিলার তিন টি সরকারী গোডাউন থেকে পন্য সরবরাহ করছেন। সঠিকভাবে পন্য সরবরাহ ও বিতরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন নির্ধারিত তদারকি কমিটি। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকারভোগীর কাছে থাকবে একটি কার্ড ও বিতরণকারীর কাছে থাকবে একটি কার্ড এই কার্ড দেখিয়ে উপকারভোগীরা তাদের পন্য সংগ্রহ করতে পারবে।
১১ এপ্রিল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শহরের ৪নং ওয়ার্ডে পৌর কমিশনার মোঃ আলাল এর সহযোগিতায় পুরাতন আদালতের মাঠে এই কার্যক্রম চলছে। উপকারভোগী পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান, জয় সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকেও সুবিধাভোগীরা কমমূল্যে পন্য পেয়ে খুশী হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধনাবাদ জানিয়ে তারা এই কার্যক্রম যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য অনুরোধ করেন।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান তদারকি কমিটি ও বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে এবং প্রতিটি কার্ড সুবিধাপ্রত্যাশীদের মধ্যে সুসম বন্ঠন করা হয়েছে।
১১ এপ্রিল সকাল ১১ টার সময় পটুয়াখালী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ হুমায়ুন কবির আরও জানান এখন পর্যন্ত এই পন্য বিতরণে কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি সঠিক ও সুন্দরভাবেই এই পন্য বিতরণ হচ্ছে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..