বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চুরি করতে গিয়ে হত্যা: যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

রংপুর প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
  • ৬১৩০ বার পঠিত
দণ্ডপ্রাপ্ত লাভলু মিয়াদণ্ডপ্রাপ্ত লাভলু মিয়া

রংপুরের মিঠাপুকুরে গৃহবধূ রেহেনা বেগম হত্যা মামলায় আসামি লাভলু মিয়াকে আমৃত্যু কারােণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি লাভলু মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শংকরপুর উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে লাভলু মিয়া চুরির উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী শংকরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের মা রেহেনা বেগমের ঘরের জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরের ড্রয়ার খুলে সেখানে মাত্র ১শ টাকা পান। এরপর লাভলু মিয়া রেহেনা বেগমের কানের দুটি সোনার দুল জোর করে ছিনিয়া নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কান থেকে দুটি দুল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় রেহেনা বেগম লাভলুকে চিনতে পেরে তার নাম ধরে বলার সাথে সাথে আসামি তার সাথে থাকা বড় পাথর দিয়ে রেহেনা বেগমের মাথায় উপযুপরি আঘাত করে হত্যা করে। এরপর তার মৃতদেহ বাড়ির অদুরে একটি বাঁশ ঝাড়ে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় নিহত রেহেনা বেগমের ছেলে খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ আসামি লাভলু মিয়াকে গ্রেফতার করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি লাভলু মিয়ার নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত ২০১৬ সালের ১৫ জুন তারিখে মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এরপর ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক লাভলু মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অপরদিকে দণ্ডবিধি আইনের ৩৮০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি জয়নাল আবেদীন অরেজ্ঞ এ জানান, বাদী পক্ষ ন্যায্য বিচার পেয়েছে এ রায়ে তারা সন্তোষ্ট । অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী সুলতান আহাম্মেদ শাহিন এ জানান, তারা ন্যায্য বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..