শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মহা অষ্টমী স্নানে পানিতে ডুবে ১২ বছরের ছেলের মৃত্যু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন-সড়ক দুর্ঘটনারোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করুন : নতুনধারা মামলার পর আটক শামসুজ্জামান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক: প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে নতুনধারার শোক ভোলার ইলিশা ঘাটে যানজট, ট্রাকেই পচা তরমুজ ফেলে পালালেন ব্যবসায়ীরা সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন জনের বাড়ি কুমিল্লায়: নিহতদের বাড়িতে শোকের ছায়া!

একটি দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গিয়ে সব দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
  • ৫৮৭৩ বার পঠিত
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যুদ্ধের কারণে একটি দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গিয়ে পুরো বিশ্বের মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছেন। পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবনির্মিত আটতলা ভবনের উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ‘সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে আমাদের পণ্য প্রাপ্তিতে বা যেগুলো আমরা আমদানি করি, সেখানে বিরাট বাধা আসছে। আমেরিকার এটা বিবেচনা করা উচিত, তারা যে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, তাতে তাদের দেশের লোকেরাও যে কষ্ট পাচ্ছে, সেদিকেও তাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন, তাদের আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন। কিন্তু, তারা আসলে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সব দেশের সাধারণ মানুষ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধ এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।’ করোনা ও যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চলছে, তা মোকাবিলায় সরকার দেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সার, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সার প্রয়োজন, আমাদের ডিজেল প্রয়োজন, আমাদের বিভিন্ন উপকরণ প্রয়োজন, সেটা আমরা পাচ্ছি না। কাজেই এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কী অর্থ থাকতে পারে, আমি ঠিক জানি না। একদিক থেকে বলতে গেলে এটাও তো মানবাধিকার লঙ্ঘন করার শামিল। মানুষের যে অধিকার আছে, সে অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমি আশা করি, একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে বিশ্বের মানুষকে শাস্তি দেওয়া থেকে সরে আসাটা বোধহয় বাঞ্ছনীয়।’

এ সময় কূটনীতিতে বিশেষ অবদান রাখায় পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক’-এ ভূষিত করা হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..